সংক্ষিপ্ত
- শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে তাউতে
- পরিস্থিতি পর্যালোচনা অমিত শাহর
- গুজরাতে আছড়ে পড়তে পারে
- পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি প্রশাসন
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও শক্তি বাড়াতে পারে সাইক্লোন তাউতে। তেমনই জানিয়েছে আইএমডি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণীঝড় গুজরাত উপকূলে পৌঁছে যাবে। আর পরের দিন অর্থাৎ ১৮ মে ভোরবেলা স্থলভাগে প্রবেশ করে পোরবন্দর ও মহুভা উপকূলের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। আইএমডি জানিয়েছে ঘূর্ণীঝড় তাউতে গোয়ার পানজি থেকে ১৯০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে. মুম্বই থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ -দক্ষিণ পশ্চিম ও গুজরাতের ভারাবাল থেকে ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পূর্বে অবস্থান করছে।
সাইক্লোন তাউতে পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ, রবিবার সন্ধ্যেই মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দমন, দিউ ও নগর হাভেলির প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছেন। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। তিনি কোভিড হাসপাতাল, পরীক্ষাগারের দিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছেন স্থানীয় প্রশাসনকে। মহারাষ্ট্র ও গুজরাত সরকারকে স্থানীয় অক্সিজেন প্ল্যানগুলির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলেছেন অমিত শাহ। মোটের ওপর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে করোনা আক্রান্তদের যেন কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকে নজর দিয়েছেন তিনি।
সাইক্লোন তাউতের কারণে গুজরাতের উপকূলবর্তী এলাকা ও নিচু এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় ৫৪টি দল ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছে গুজরাতে। পাশাপাশি কাজ করছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। রাজ্যের কোভিড হাসপাতালগুলির বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে হাসপাতাগুলিতে যাবে বিকল্প আলো ও জলের ব্যবস্থা করা হয় সেদিকে বিশেষ নজর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি। তিনি জানিয়েছন আপাতত সোম ও মঙ্গলবার রাজ্যে টিকা প্রদান করা হবে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য কর্মীদের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য স্ট্যান্ডবাই রাখার পরিকল্পা নিয়েছে তাঁর সরকার। ঘূর্ণী ঝড়ের কারণে রাজ্যে যাতে একজন মানুষও না মারা যায় সেদিকেই নজর দিচ্ছে প্রশাসন। ঘূর্ণী ঝড়ের কারণে গুজরাত ও সংলগ্ন এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হবে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। আর সেই জন্য দমকল, পুলিস ও উপকূল রক্ষী বাহিনীকে তৎপর থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণী ঝড়ের প্রভাবে সৌরাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাতে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলেও পূর্বভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।