সংক্ষিপ্ত
- শনিবার ঘূর্ণিঝড় কিয়ার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা
- মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গোয়া জুড়ে সতর্কতা
- বেশ কয়েকটি জায়গায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা
- মজুদ করা হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী
আরব সাগরের পূর্ব এবং মধ্যে ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কিয়ার। শুক্রবার পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়টি রত্নগিরি থেকে ১৯০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মুম্বই থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে। ছয় ঘণ্টায় এই ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর ও উত্তর পূর্বে সরে যাবে বলে মুম্বইয়ের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
নয়াদিল্লির আবহাওয়া দপ্তরের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আরও শক্তি সঞ্চয় করে এই ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার ভারতীয় উপত্যকায় আছড়ে পড়বে। আগামী পাঁচদিন এই ঘূর্ণিঝড়টি পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমে সরতে সরতে ওমান উপত্যকায় আছড়ে পড়বে। মধ্য আরব সাগরে ইতিমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃত ব্যক্তির সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে কিছু জানা যায়নি। অনুমান করা হচ্ছে, মধ্য আরব সাগর বর্তমানে উত্তাল হয়ে পড়েছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরের উপকূলে তাণ্ডবলীলা চালানো শুরু করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ১২ ঘণ্টায় কর্ণাটকের উপত্যকা অঞ্চল, দক্ষিণ কনকন গোয়ায় ভারী থেকে অতি ভারীরর বৃষ্টিপাত হবে। উত্তর কনকনের বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ২০৪.৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা করছে মুম্বইয়ের আবহাওয়া দপ্তর। যার জেরে গোয়ায় ইতিমধ্যে সৈকতের পার্শ্ববর্তী অস্থায়ী দোকানগুলোকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রবল বৃষ্টিপাতে বিস্তীর্ণ এলাকা জলবন্দি হয়ে যেতে পারে। গোয়া প্রশাসন আগে থেকেই ত্রাণ মজুত করতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। তবে মুম্বইয়ের আবহাওয়াবিদরা মনে করছে, এটি ওমান উপত্যকায় আছড়ে পড়তে পারে। ভারতে তার প্রভাব হিসেবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা।
গোয়ার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের বিস্তীর্ণ উপকূল এলাকা এবং কর্ণাটকের উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। মুম্বইয়ের আবহাওয়া দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের কনকন এলাকার সিন্ধুদুর্গ ও রত্নগিরিতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে। যে সব অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে, সেখানে ভারী থেকে অতি ভারীর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হলেও, বৃহস্পতিবার থেকে মাঝারি মাপের বৃষ্টিপাত শুরু হবে বলে মুম্বইয়ের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে মহারাষ্ট্রে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে ত্রাণ মজুদের কাজ শুরু করেছে মহারাষ্ট্র প্রশাসন।