সংক্ষিপ্ত
এখনও আইসিইউ-তে পড়ে রয়েছে কর্ণাটক সরকার
একটা করে যত দিন এগোচ্ছে ততই সঙ্কট বাড়ছে এই সরকারের
কর্ণাটক বিধানসভার অধ্যক্ষ এখনও বিদ্রোহী বিধায়কদের পদত্যাগ গ্রহণ করেননি
এই পরিস্থিতিতে বুধবার মুম্বইয়ে পৌঁছন কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার
সরকারের অবস্থা টালমাটাল। বিধানসভায় এই মুহূর্তে হাতছাড়া সংখ্যাগরিষ্ঠতা। প্রবীণ নেতারা যখন রফাসূ্ত্র বের করতে নাজেহাল, তখন আসরে নামলেন ক্রাইসিস ম্যান বলে পরিচিত ডি কে শিবকুমার। ডাকাবুকো এই নেতার ওপরেই দায়িত্ব পড়েছে বিদ্রোহী বিধায়কদের ফিরিয়ে আনার। জে ডি এস বিধায়ক শিবলিঙ্গে গৌড়া-কে সঙ্গী করে বুধবারই মুম্বই পৌঁছন শিবকুমার।
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের রেনেসাঁ মুম্বই কনভেনশন সেন্টার হোটেলে এই মুহূর্তে রয়েছেন বিদ্রোহী কংগ্রেস এবং জেডিএস- এর দশ বিধায়ক। মুম্বই বিমানবন্দরে পৌঁছেই শিবকুমার জানান যে, তিনি তাঁর দলীয় সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে মুম্বই এসেছেন। তাঁরা একসঙ্গে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছেন এবং শেষও করবেন একসঙ্গে। পাল্টা বিদ্রোহী বিধায়কদের তরফ থেকে জানানো হয়, তাঁরা মোটেই শিবকুমারের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আগ্রহী নন। তাঁর আগমন বার্তা পেয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মুম্বই পুলিশের তরফ থেকেও জানানো হয় তাঁরা কোনওভাবেই শিবকুমারকে হোটেলে প্রবেশ করতে দেবে না। পাল্টা পদত্যাগী জেডিএস বিধায়ক নারায়ণ গৌড়ার অনুগামীরাও হোটেলের সামনে জমায়েত করে স্লোগান দিতে থাকেন। আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঠেকাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয় রেনেসাঁ মুম্বই কনভেনশন সেন্টারের বাইরে। শিবকুমার হোটেলের সামনে পৌঁছলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। পরে পুলিশ শিবকুমারকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়।
হোটেলে ঢুকতে না পারলেও এত সহজে হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই মুহূর্তে মুম্বইতেই তিনি রয়েছেন, এবং বিদ্রোহীদের দলে ফেরানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।