সংক্ষিপ্ত

  • গায়েত্রী মন্ত্র পাঠ করেই এই মাদ্রাসায় শুরু হয় দিন
  • তাঁদের কাছে গায়েত্রী মন্ত্র যা, কলমাও তাই
  • 'বন্দে মাতরম' পাঠ করা তাঁদের প্রতিদিনকার রুটিন
  • উত্তরপ্রদেশের বরেলির সমভলের একটি মাদ্রাসায় এটাই হয়ে আসছে 

মাদ্রাসায় 'বন্দে মাতরম' পাঠ করা নিয়ে চারিদিকে যখন এত হইচই তখনই এমনই একটি মাদ্রাসার খোঁজ পাওয়া গেল যেখানে পাঠরত প্রতিটি পড়ুয়া নিজের দিন শুরু করে গায়েত্রী মন্ত্র উচ্চারণের সঙ্গে। সেইসঙ্গে কলমাও পাঠ করে তাঁরা। 

উত্তরপ্রদেশের বরেলির সমভলের একটি মাদ্রাসায় প্রতিটি ছাত্রের এটাই রোজকার রুটিন। মাদ্রাসা মৌলানা মহম্মদ আলি জওহর পাবলিক স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭০ জনেরও বেশি। সেই মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিদিন সকালে উঠে নিয়ম হল, দেশের উদ্দেশে জয়ধ্বনি দেওয়া। আর সেই কারণেই তাঁরা নিয়ম করে 'বন্দে মাতরম', 'ভারত মাতা কি জয়', 'হিন্দুস্থান জিন্দাবাদ', 'ইনকিলাব জিন্দাবাদ', 'দেশ কে অমর শহিদো কি জয়' ধ্বনি দিয়ে থাকে। 

ওই মাদ্রাসার ম্যানেজার ফিরোজ খান জানিয়েছেন, এখানে শিক্ষার্থীদের একইসঙ্গে কলমা এবং গায়েত্রী মন্ত্রের পাঠ দেওয়া হয়। এর কারণ হিসাবে তিনি বলেন, তাঁরা চান যে শিক্ষার্থীরা সকল ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করুক এবং দেশের মধ্যে সম্প্রীতি বজায় রাখুক। তিনি আরও বলেন যে, যাঁরা মনে করেন যাঁরা ধর্মের কারণে বন্দে মাতরম ধ্বনি উচ্চারণ করা যায় না। তাঁরা আসলে জানেনই না ইসলাম ধর্ম কী বলে। 

আরও জানা গিয়েছে, যখন তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে এই মাদ্রাসা গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেন, তখন অনেক মানুষই এর বিরোধীতা করেছিল। তবে ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে এবিষয়ে সহযোগীতা থাকায় তাঁরা এই বিষয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছেন। ওই মাদ্রাসার ক্লাস ফাইভের একটি ছাত্রের কথায়, তাঁর কাছে গায়েত্রী মন্ত্র যা, কলমাও তাই। তবে প্রথম থেকেই দুস্থ ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই মাদ্রাসা। গরীবদের বিনা মূল্যে পড়াশোনা করার সুযোগ রয়েছে এখানে। পাশাপাশি অনাথ শিশুদের বিনামূল্যে পড়ার বইও বিতরণ করে এই মাদ্রাসা। তবে যাঁরা পড়াশোনার খরচ বহন করতে সক্ষম তাঁদের কাছ থেকে মাসিক ১০০ টাকা করে নেওয়া হয়।