সংক্ষিপ্ত

  • উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা এলাহাবাদ হাইকোর্টের
  • অক্সিজেনের অভাবে পরপর রোগি মৃত্যুর ঘটনা অমানবিক
  • এই ধরণের ঘটনা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট বা অপরাধ 
  • এই ধরণের ঘটনা গণহত্যার মত অপরাধের সঙ্গে তুলনা করা যায়

করোনা পরিস্থিতির বেহাল দশা চরমে। অক্সিজেনের অভাব প্রকট। বেড নেই। সব মিলিয়ে চরম দুর্দশার মধ্যে দেশের করোনা রোগিরা। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। অক্সিজেনের অভাবে পরপর রোগি মৃত্যুর ঘটনাকে ক্রিমিনাল অ্যাক্ট বা অপরাধ বলে উল্লেখ করল হাইকোর্ট। 

বুধবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানায়, অক্সিজেনের অভাবে রোগি মৃত্যুর ঘটনা কখনই মেনে নেওয়া যায় না। এই ধরণের ঘটনা জেনোসাইড বা গণহত্যার মত অপরাধের সঙ্গে তুলনা করা যায়। স্বাভাবিকভাবেই হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণে কার্যত অস্বস্তিতে উত্তর প্রদেশের যোগী সরকার। 

আরও পড়ুন - করোনা মোকাবিলায় ৫০ হাজার কোটির তহবিল গঠন, সাহায্যের হাত রিজার্ভ ব্যাংকের

এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে অক্সিজেনের অভাবের অভিযোগ মিলছে। কেন সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না। মানুষের মৃত্যু অক্সিজেনের অভাবে হলে, তা ক্রিমিনাল অ্যাক্ট। এর কড়া শাস্তি হওয়া উচিত। এই ধরণের ঘটনা ব্যথিত করে সমাজকে। তরল মেডিক্যাল অক্সিজেনের সরবরাহে কোথায় ঘাটতি রয়েছে, তা সরকারকে খুঁজে বের করতে হবে। মানুষকে এভাবে মরতে দেওয়া যায় না। এটা অমানবিক। 

বিচারপতি অজিত কুমার ও বিচারপতি সিদ্ধার্থ বর্মার ডিভিশন বেঞ্চ এদিন এই রায় দেয়। ডিভিশন বেঞ্চের দাবি দ্রুত এই পরিস্থিতির বদল ঘটাতে হবে। কোনও ভাবেই এই অব্যবস্থা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্য সরকার অবিলম্বে অক্সিজেনের সরবরাহ নিশ্চিত করুক। 

এদিকে, বিগত কয়েক সপ্তাহে নিত্য তিন লক্ষের মাত্রা ছাড়াচ্ছে করোনা সংংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে খানিক স্বস্তির ছবি উঠে এসেছিল, যখন দৈনিক সংক্রমণের মাত্রা খানিক হলেও কমতে দেখা যায়। তবে আবারও নয়া রেকর্ড গড়ল করোনা। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩,৮২,৩১৫। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ মে ৩,৩৮,৪৩৯ জন। তবে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩,৭৮০ জন। 

৪ মে রিপোর্ট অনুযায়ী করোনা টেস্ট করানো হয়েছিল ১৫,৪১,২৯৯ জনের। যার মধ্যে প্রায় চার লক্ষের নমুনায় মিলেছে করোনা ভাইরাস। যদিও দিল্লি খানিক হলেও স্বাভাবিকের পথে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৯,৯৫৩ জন, আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৮,৭৮৮ জন। গ্রীন করিডর করে দিল্লিতে পৌঁছেছে অক্সিজেন এক্সপ্রেস। রাজধানীর পাশাপাশি একাধিক জায়গাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন রাজ্যে জরি করা হয়েছে আংশিক লকডাউন-কার্ফু।