সংক্ষিপ্ত
- করোনা সংক্রমণ ক্রমশই চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের
- মাস্ক না পরবে জরিমানা বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন
- মাস্ক বিলির পরামর্শ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
- দিল্লিতে বাড়ানো হয়ছে হাসপাতালের শষ্যা সংখ্যাও
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে রীতিমত কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। এদিন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ শিসৌদিয়া জাতীয় রাজধানীর করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সেখানে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণে লাগাম পারোনোর জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় বার হলেই মাস্ক পরতে হবে দিল্লিবাসীকে। কেউ যদি মাস্ক না পরে তাহলে তাঁদের ২০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এদিন তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন কেউ যদি পাব্লিকপ্লেসে মাস্ক না পরেন তাহলে তাঁকে ২০০০ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে। আগেও অবশ্য মাস্কের জন্য জরিমানা ধার্য করা হয়েছিল। আগে জরিমানার পরিমাণ ছিল ৫০০ টাকা।
দিল্লির করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলির কাছে আহ্বান জানিয়েছেন। যে কোনও জনবহুল এলাকায় মাস্ক বিলি করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। একই আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির কাছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লিকে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছিল। আর সেই সংক্রমণ রুখতেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন আবহাওয়ার পরিবর্তন ও দিল্লিতে দুষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে করোনার প্রকোপ বাড়ছে। তাঁর সেই কারণেই তিনি মাস্কের ব্যবহারের ওপর জোর দিচ্ছেন। নওরাত্রি, দশেরা, দিওয়ালি-- পরপর উৎসবের কারণে ভিড় বেড়েছিল দিল্লিতে। উৎসবের সেই মরশুমে ভিড় বাড়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। আর সেই কারণে আগেই প্রয়োজনে রাজধানীর বাজারগুলি বন্ধ করে দেওয়ার অনুমতি কেন্দ্রের কাছ থেকে চেয়ে রেখেছেন তিনি।
গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অক্টোবরে দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু নভেম্বর মাসের প্রথম থেকেই সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধ্বগামী। গত সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারে পৌঁছে গিয়েছিল। আর সেই কারণেই প্যারা চিকিৎসা কর্মীদের পাশাপাশি হাসপাতগুলিতেও শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন বর্তমানে দিল্লিতে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ১৪০০। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে কোভিড শষ্যা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে। আসন্ন ছট পুজো উপলক্ষ্যেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেছেন তিনি। নদী বা স্থানীয় হ্রদগুলিকে পুণ্যস্নান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সর্বদল বৈঠক ডেকেও মহামারি রুখতে রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।