সংক্ষিপ্ত
ভারতের বাড়বারন্ত জনসংখ্যার কথা উল্লেখ করে ডেটলের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপনের ক্যাম্পেনে ভারতের জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধিকে ডেটলের জীবানু ধ্বংসের ক্ষমতার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
জনসংখ্যায় চিনকে টেক্কা দিচ্ছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারত এখন বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। চিনের চেয়ে আমাদের দেশে ২০ লক্ষ বেশি লোক রয়েছে এবং এই দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ছাড়িয়েছে। এবার এই তথ্য উঠে এল ডেটলের বিজ্ঞাপনেও। ডেটল ইন্ডিয়ার রসিক আন্দাজের বিজ্ঞাপন মন ছুঁয়েচে আম জনতার। ভারতের বাড়বারন্ত জনসংখ্যার কথা উল্লেখ করে ডেটলের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বিজ্ঞাপনের ক্যাম্পেনে ভারতের জনসংখ্যার ক্রমবৃদ্ধিকে ডেটলের জীবানু ধ্বংসের ক্ষমতার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
গত ২১ এপ্রিল ডেটল ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। সেখানে লেখা থাকে,'ইন্ডিয়াকা পপুলেশন অউর ডেটলকা প্রটেকশন, রোকে নেহি রুকতা।' অর্থাৎ ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং ডেটলের সুরক্ষাকে আটকানো যায় না। এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ্যে আসতেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। পোস্টটি ইতিমধ্যেই ৭৫৫ জন শেয়ার করেছেন এবং ৩৯ হাজার মানুষ লাইক করেছেন। ফেসবুকে ডেটল ইন্ডিয়ার পোস্টটিতে ৩৭১ জন মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি ডেটলের পক্ষ দাবি করা হয়েছে তাঁরা ৯৯.৯৯ শতাংশ জীবানু ধ্বংস করে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে এই ৯৭ শতাংশ সুরক্ষার দুনিয়ায় আমরা ৯৯.৯৯ শতাংশ সুরক্ষার আশ্বাস দি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সংস্থা ইউএনএফপিএর 'দ্য স্টেট অফ ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট ২০২৩', '৮ বিলিয়ন লাইভস, ইনফিনিট পসিবিলিটিস: দ্য কেস ফর রাইটস অ্যান্ড চয়েস' শিরোনামে প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে যে এখন ভারতের জনসংখ্যা ১৪২৮.৬ মিলিয়ন, যেখানে চিনের জনসংখ্যা ১৪২৫.৭ মিলিয়ন। তার মানে উভয়ের জনসংখ্যায় ২.৯ মিলিয়নের পার্থক্য রয়েছে। প্রতিবেদনে সর্বশেষ পরিসংখ্যান 'ডেমোগ্রাফিক ইন্ডিকেটর' ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়েছে। ভারতের জনসংখ্যা প্রথমবারের মতো চিনের চেয়ে বেশি জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৫০ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘ জনসংখ্যার তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করা শুরু করে। আপনি যদি ১৯৫০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রসঙ্ঘের জনসংখ্যার চার্ট এবং সারণী দেখেন, ভারতের জনসংখ্যা এইভাবে বেড়েছে- ২০২৩ সালে ভারতের জনসংখ্যা হল ১,৪২৮,৬২৭,৬৬৩ যা ২০২২ সালের তুলনায় ০.৮১ শতাংশ বেশি।