সংক্ষিপ্ত

  • সরকারি ঘোষণায় এল সহজে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার অফার
  • অফার দিলেন মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র জেলার কালেক্টর
  • লাইসেন্স পেতে দশটি কম্বর দিতে হবে গরুদের জন্য
  • সম্প্রতি এখানকার এক সরকারি গোশালায় শীতে মৃত্যু হয়েছে ৬টি গরুর

 

বন্দুকের লাইসেন্স পেতে চান? সহজেই মিলবে। ঠান্ডা থেকে গরুদের রক্ষা করার জন্য দশটি কম্বল দান করলেই হবে। না কোনও বিজেপি বা হিন্দুত্ববাদী সংগঠন নয়, এইরকম সরকারি নির্দেশিকা এসেছে কংগ্রেস শাসিত মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র জেলায়।  সম্প্রতি গোয়ালিয়র-এর জেলা কালেক্টর অনুরাগ চৌধরি বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য এই নয়া নিয়ম ঘোষণা করেছেন।

গত সপ্তাহের শুরুতে গোলা মন্দির-এর ওই সরকার পরিচালিত গোশালায় অতিরিক্ত শীতে ছয়টি গরুর মৃত্যু হয়েছিল। এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বজরং দল। এরপর, গত শনিবার অনুরাগ চৌধরি ওই গোশালায় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি ওইদিন গোয়ালিয়র পৌর কর্পোরেশন (জিএমসি) পরিচালিত লাল টিপারা এলাকার আরও একটি গোশালায় যান। ওই দুই গোশালায় কমপক্ষে ৮ হাজার গরু রয়েছে। গোশালা পরিদর্শনের পরই সেখানে দশটি করে কম্বল দান করলেই বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।

অবশ্য বন্দুকের লাইসেন্স বিতড়ের অফার এর আগেও দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গোয়ালিয়রের জেলা কালেক্টর। চলতি বছরের জুনেই তিনি একটি করে গাছ লাগিয়ে তার সঙ্গে সেলফি তোলার বিনিময়ে বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার অফার দিয়েছিলেন। আবেদনকারীদের একমাসের জন্য সেই চারাগাছের যত্ন নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।

গোয়ালিয়র একসময় চম্বল-এর অধীনে ছিল। চম্বল ডাকাতদের দাপটের জন্য জন্য কুখ্যাত ছিল। এই এলাকায় স্বাভাবিকভাবেই আগ্নেয়াস্ত্র রাখার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। গত মাসেই পাশের জেলা মোরেনা-তে সরকারী বিদ্যুৎ সংস্থার কর্মকর্তারা, বিদ্যুতের বিল খেলাপিদের বন্দুক লাইসেন্স বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন জেলা প্রশাসনের কাছে। তারা দাবি করেছিলেন বিদ্যুৎ-এর বিলের টাকা সংগ্রহ করতে গেলেই বন্দুকের লাইসেন্সধারীরা বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেয়।