সংক্ষিপ্ত
নিউ জেনারেশন আকাশ মিসাইল(Akash-NG) সফল ভাবে উৎক্ষেপিত। ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি আরও বাড়িয়ে উৎক্ষেপন করা হল সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি আকাশ মিসাইল।
নিউ জেনারেশন আকাশ মিসাইল (Akash-NG) সফল ভাবে উৎক্ষেপিত। ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি আরও বাড়িয়ে উৎক্ষেপন করা হল সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি আকাশ মিসাইল। বৃহস্পতিবার ওডিশা উপকূলের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে এই মিসাইলের উৎক্ষেপণ করে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও।
ভূমি থেকে বায়ুতে নিখুঁতভাবে হামলা চালাতে সক্ষম আকাশ মিসাইল। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও আত্মনির্ভর হল ভারতীয় বায়ুসেনা। এর সর্বাধিক গতি হল ২.৫ ম্যাক (৩০৮৭ কিমি প্রতি ঘণ্টা)। এটি মধ্যম পাল্লার মিসাইল, যেটা ২৫ কিমি পর্যন্ত দূরে থাকা লক্ষ্যকে সহজেই ধ্বংস করতে পারবে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, আধুনিক প্রযুক্তির আকাশ মিসাইল মোতায়েন করা হতে পারে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে। তবে ধারাবাহিক পরীক্ষায় সাফল্য আসার পরেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলেও জানান হয়েছে। আর সেই পরীক্ষায় আরও এক ধাপ সফলভাবে এগিয়েছে ভারত।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী এই মিসাইল। শত্রুপক্ষের বিমান নিখুঁত ভাবে ধ্বংস করতে সক্ষম আকাশ মিসাইল। ২২শে জুলাই বেলা ১২.৪৫ মিনিটে এই পরীক্ষা করা হয়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং আকাশ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণের জন্য ডিআরডিও-কে অভিনন্দন জানান। বায়ু সেনার এক আধিকারিক জানিয়েছেন পূর্বা লাদাখ সেক্টর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় চিনা যুদ্ধ বিমান ভারতের আকাশ সীমা লঙ্ঘন করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই সব এলাকাগুলিতেই আকাশ মিসাইল মোতায়েন করা হবে। বায়ুসের সূত্রেখবর চিনা জেএইচ ১৭ অথবা ব়্যাডার নজরদারী এড়াতে সক্ষম জে ২০ স্টেলথ যুদ্ধবিমানের সম্ভাব্য হামলা মোকাবিলা করতে পারবে বলেও দাবি করা হয়েছে। ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ও ভারতের ডায়নামিক্স লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে আধুনিক প্রযুক্তির আকাশ মিসাইল তৈরি করা হয়েছে।