সংক্ষিপ্ত
জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে জম্মু বিমানবন্দর
বিস্ফোরণ ঘটাতে ব্যবহার করা হয়েছে ড্রোন
ড্রোনগুলি পাকিস্তান থেকেই এসেছিল
আর কী জানা গেল এনআইএ-র তদন্ত থেকে
জম্মু বিমানবন্দরে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটানো ড্রোনগুলি সীমান্তের ওইপাড় থেকেই এসেছিল। জাতীয় তদন্ত সংস্থা বা এনআইএ (NIA)-র এর শীর্ষস্থানীয় সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। এনআইএ-র পাশাপাশি ভারতীয় বিমানবাহিনী (IAF)-ও এই হামলার তদন্ত করছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে নয়াদিল্লির এক শীর্ষস্থানীয় সরকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং উপত্যকার সুরক্ষা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডিআইজি দিলবাগ সিং আগেই জানিয়েছিলেন জম্মু বিমানবন্দরের এই হামলার পিছনে সন্ত্রাসবাদীরাই রয়েছে। পরে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্তাগুলির পক্ষ থেকেও জানানো হয়, এই হামলা পাকিস্তানি জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ-ই-মহম্মদ কিংবা লংস্কর-ই-তৈবা'র কাজ। ভোর সোয়া ১ টার দিকে প্রথম বিস্ফোরকবাহী ড্রোনটিতে বিস্ফোরণ ঘটলে বায়ুসেনার দুই জওয়ান আহত হন। এর ছয় মিনিট পরই আরও একটি বিস্ফোরণ ঘটে।
প্রথম বিস্ফোরণটি জম্মুর সাতোয়ারি অঞ্চলে আইএএফ-র বিমানঘাঁটির একটি প্রযুক্তিগত অঞ্চলে ঘটে। অপর বিস্ফোরণটি সেখান থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ঘটে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ভবন এবং দাঁড়িয়ে থাকা এমআই১৭ হেলিকপ্টারগুলিই এই হামলার প্রাথমিক নিশানা ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক মূল্যায়নে জানা গিয়েছে যে এই হামলার জন্য ছোট মাপের ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। সেগুলি রিমোট-নিয়ন্ত্রিত বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই নাশকতার অভিযোগে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, একটি ড্রোনে ৫ কেজি টিএনটি বিস্ফোরক ছিল, অপরটিতে বিস্ফোরকের পরিমাণ কম ছিল। ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের (NSG) বম্ব ইউনিটের বিশেষজ্ঞরা এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলি বিস্ফোরকগুলির প্রকৃতি আরও তদন্ত করে দেখছেন। এর আগে, হিজবুল মুজাহিদিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাক সীমান্ত পেরিয়ে ড্রোন মারফত জম্মু ও কাশ্মীরের জঙ্গিদের কাছে নিয়মিত গোলাবারুদ পাঠিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ। তবে, এই প্রথম উপত্যকায় হামলা চালানোর জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হল।