সংক্ষিপ্ত

দুমাস আগে তাকে নিজের বাড়ি থেকেই চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল

কারণ তার মদ্য়প স্বভাব

কিন্তু তাতেও তার নেশা গেল না

যার বলি হতে হল এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে

 

দাউ দাউ করে জ্বলছে দশ-দশটি মোটর বাইক ও আরও কিছু বাইসাইকেল। জ্বলছে সংলগ্ন একটি বাড়িও। মাতালের তাণ্ডব ছাড়া কিছু বলা যায় না একে। যার বলি হতে হল এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে। ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় ভর্তি তাঁর আট বছরের পুত্র। তাকে ভেন্টিলেটরের সহায়তা দিতে হয়েছে। ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী থাকল তামিলনাড়ুর থুথুকুডি জেলার তুতিকোরিনের ক্লিওপাত্রা থিয়েটার এলাকার বাসিন্দারা।

ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার ভোরে। জানা গিয়েছে মধ্য চল্লিশের মারিয়া অ্যান্টনি দীনেশ মেন্ডিসের দক্ষিণ কটন রোডের একটি বাড়ি রয়েছে। সে অ্যালকোহলিক, অর্থাৎ প্রতিদিনই মদ না হলে তার চলে না। আকন্ঠ মদ্যপান করে এলাকায় প্রায়ই ঝামেলা করত সে। আর এই নিয়ে প্রায়শই প্রতিবেশি এন আন্নামালাই-এর ভাড়াটেদের সঙ্গে, বিশেষ করে মহিলাদের সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক হতো। মাস দুই আগে তাদের চাপে দীনেশ মেন্ডিস বাধ্য হয়েছিল নিজের বাড়ি চেড়ে অ্যান্টোনিওয়ারপুরম এলাকার এক ভাড়া বাড়িতে চলে যেতে।

সোমবার রাতে দীনেশ মেন্ডিস নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আন্নামালাই-এর বাড়ির সামনে গিয়ে ফের তাঁর ভাড়াটেদের সঙ্গে ঝগড়াঝাটি করে বলে অভিযোগ। তারপর সেখান থেকে চলেও গিয়েছিল সে। কিন্তু, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সে আবার ঘটনাস্থলে ফিরে আসে। তারপরই শুরু হয তার তাণ্ডব। আন্নমালাই-এর বাড়ির প্রাঙ্গনে রাখা ১০টি মোটরবাইক এবং আরও কিছু সাইকেলে সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

এরপর ওই বাইকের থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে অন্নমালাইয়ের বাড়িতে। দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ৪২ বছরের আন্নামালাই-এর। তাঁর ৮ বছরের পুত্র বেঁচে যায় দমকল কর্মীদের তৎপড়তায়। পুলিশ জানিয়েছে, তাকে থুদুকুড়ি সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দীনেশ মেন্ডিসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।