ভারতের নজরে ফ্রান্সের মেরিন রাফাল, সাধারণ রাফলের থেকে শক্তিতে এগিয়ে শতগুণ
- FB
- TW
- Linkdin
মোদীর ফ্রান্স সফর
দুই দিনের ফ্রান্স সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে। সূত্রের খবর এই সফরেই মেরিন রাফাল কেনা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে।
মেরিন রাফাল চুক্তি
ভারত ফ্রান্সের থেকে ২৬টি মেরিন রাফাল কিনতে চায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ফ্রান্স সফরেই সেই বিষয়ে চুক্তি হতে পারে। এই সফরে স্করপেন ডুবো জাহাজ তৈরির প্রযুক্ত হস্তান্তর নিয়েও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হতে পারে।
ভারতের হাতে রাফাল
ইতিমধ্যেই ভারতের হাতে রয়েছে ৩৬টি রাফাল সি । অর্থাৎ বিমান বাহিনীর জন্য যুদ্ধ বিমান। কিন্তু রাফাস এম অর্থাৎ মেরিন রাফাল নৌ-যোদ্ধাদের শক্তিশালী করবে বলেও আশা প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
মেরিন এমএর নির্মাতা
রাফাল যুদ্ধ বিমানের নির্মাতা ডাসল্ট অ্যাভিয়েশনই তৈরি করেছে মেরিন রাফাল। এটি রাফাস সির থেকে অনেকটাই আলাদা। এর কার্যকারিতাও আলাদা।
দুই রাফালের পার্থক্য
রাফাল এম আর রাফাল সি দেখতে অনেকটা এক হলেও। তবে নৌ সংস্করণের জন্য তৈরি রাফালের সামনের মুখটা অনেকটাই লম্বাটে।
শক্তিতে পার্থক্য
রাফাল যুদ্ধ বিমানের সঙ্গে শক্তিতেও পার্থক্য রয়েছে। রাফাল এমএর চাকার শক্তি বেশি। অবতরণের সময় দুর্ঘটনা এড়াতে পারে। এটি বিমানবাহী রণতরী থেকে সহজেই উড়তে পারেন আর নামতে পারে। রণতরী থেকে ককপিঠে প্রবেশের জন্য মই রয়েছে। মেরিন রাফালের ডানা ভাজ করা যায়।
যুদ্ধক্ষেত্রে ভূমিকা এক
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে দুই রাফালই একই ভূমিকা পালন করে। রাফাল সি-এর মত রাফাল এমও রাতের বেলায় শত্রুপক্ষকে নিশানা করতে পারে।
মেরিন রাফালএর বিশেষ ক্ষমতা
এই যুদ্ধ বিমান অ্যান্টি শিপ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উড়তে পারে। পাশাপাশি এয়ার টু সারফেস ক্ষেপণান্ত্র নিয়ে উড়তে পারে। রাফাল সি অ্যান্টি শিপ ক্ষেপণাস্ত্র বইতে পারে না।
ওজনে পার্থক্য
মেরিন রাফালের ওজন সাধারণ রাফালের তুলনায় কিছুটা হলেও বেশি। ভারতীয় নৌবাহিনীর মেরিন রাফাল আইএনএস বিক্রমাদিত্য ও আইএনএস বিক্রান্তের জন্য বর্তমানে প্রথম পছন্দ। রুশ যুদ্ধবিমান মিগ ২৯ এর পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করতে চায়।
প্রতিরক্ষায় ভরসা তেজস
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর ভারতের সামরিক শক্তির ভবিষ্যৎ তেজসের ডানায়। তবে তেজসের আধুনিক সংস্করণ ভারতের হাতে আসতে দেরি। তারই মধ্যে রাফালেই ভরসা রাখতে ভারত।