দিল্লি, নয়ডা উড়ে গেল ধূলো ঝড়েপঞ্জাব হরিয়ানায় সকালই হল নাআবহাওয়ার ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গেল রবিবারআবহাওয়া কি খামখেয়ালি হয়ে পড়ছে, কী বলছে আবহাওয়া দপ্তর 

অনেকে বলছেন, বহু বছর ধরে প্রকৃতি মা-কে শোষণ করেছে পৃথিবী, তারই প্রতিশোধ নিতে করোনাভাইরাস মহামারির আগমন। রবিবার বিশ্ব মাতৃ দিবসে তার সন্তানদের যেন আরও শিক্ষা দিতে খেপে উঠল প্রকৃতি। দিল্লি রাজধানী ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে এদিন দুপুরে ব্যাপক মাত্রার এক ধূলিঝড়ের পর দিল্লি, নয়ডা এবং আশেপাশের অঞ্চলে তাপমাত্রা এক ঝটকায় অনেকটাই কমে এল। আর পঞ্জাব-হরিয়ানায় তো এদিন সকালই হল না।

হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। রবিবার সকালে, সকাল মানে ঘড়ির সময় অনুযায়ী পঞ্জাব-হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশের একটা বড় অংশের আকাশ একেবারে ঘন কালো মেঘে অন্ধকারে হয়ে গিয়েছিল। সূর্যের কোনও রশ্মিই সেই মেঘ ভেদ করে ঢুকতে পারছিল না। সেই ঘন কালো আকাশে মুহূর্মুহূ গর্জনের সঙ্গে তীব্র বজ্রপাত হয়। ওই রাজ্যগুলিতে বটেই এদিন সকাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চলের একটা বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে।

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে, দিল্লি রাজধানী অঞ্চল ও আশপাশের এলাকায় এদিন সকালটা হয়েছিল অন্যান্য দিনের মতোই রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ আর প্যাচপ্যাচে গরমে দুর্যোগের কোনও আভাসই ছিল না। কিন্তু, দুপুর এগিয়ে আসতেই রাজধানীর আকাশও ক্রমে মেঘে ঢাকা পড়ে। এরপরই প্রথমে ব্য়াপক গতির ধুলোঝড় প্রায় উড়িয়ে নিয়ে যায় দিল্লি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ ও আশপাশের এলাকাগুলি। তারপর ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় ব্যাপক বৃষ্টিপাত। লকডাউনের মধ্যে বাড়ি থেকে বহু মানুষ সেই ধূলোঝড়ের ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে ঝড়-বৃষ্টির দাপট মাত্রাতিরিক্ত থাকলেও, এটা আবহাওয়ার কোনও খামখেয়ালিপনা নয়। একটি সক্রিয় পশ্চিমা ঝঞ্ঝার ফলেই প্রকৃতির এই ভয়াল রূপ দেখা গিয়েছে। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, দিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে পরের ৩-৪ দিন-ও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে উত্তর ভারতের তাপমাত্রা সামনের কয়েকদিনে আরও কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।