সংক্ষিপ্ত

ডিওয়াই চন্দ্রচূড বলেন, তার বাবা পুনেতে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কেন তিনি সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তা জানতে চাইলে তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, আমি জানিনা সেখানে থাকা হবে কিনা! তোমার সঙ্গে কতদিন থাকতে পারব তাও জানি না।

 

সুপ্রিম কোর্টের বর অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে প্রধন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তাঁর বাবা ও মাকে স্মরণ করেন। নিজের শৈশবের কথা বলেন। আজই প্রধানবিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রীতিমত হালকা মেজাজেই নিজের ছোটবেলার কথা ভাগ করে নেন তিনি।

ডিওয়াই চন্দ্রচূড বলেন, তার বাবা পুনেতে একটি ছোট্ট ফ্ল্যাট কিনেছিলেন। কেন তিনি সেই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তা জানতে চাইলে তাঁর বাবা তাঁকে বলেছিলেন, 'আমি জানিনা সেখানে থাকা হবে কিনা! তোমার সঙ্গে কতদিন থাকতে পারব তাও জানি না। কিন্তু এই ফ্ল্যাটটি তোমাবার বিচারক জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রেখো।' তারপরই তিনি বলেন, তিনি কোনও দিনও অনৈতিক কিছুর সঙ্গে আপোষ করেননি। কারণ তাঁর মাথার ওপর নিরাপদ ছাদ বা আশ্রয় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবা ছিলেন একজন শৃঙ্খলাবদ্ধ মানুষ। কিন্তু কোনও দিনই শৃঙ্খলের বেড়ি দিয়ে তাদের বাঁধতে চাননি। তবে তিনি জানিয়েছেন বাবা থেকেই তাঁরা শৃঙ্খল হতে শিখেছেন।

চন্দ্রচূড় এদিন নিজের মা সম্পর্কে বলেন, তাঁর মা অধিকাংশ মারাঠি মহিলার পরই শক্তিশালী ছিলেন। চন্দ্রচূড়় জানান ছোটবেলায় তিনি প্রায়ই অসুস্থ হয়ে যেতেন। তাঁর মা রাতের পর রাত জেগে সেবা করবেন। তাঁর মা সেই সময়ই তাঁকে বলেছিলেন ওষুধ তাঁর কাছে গঙ্গার সমান। আর ডাক্তার নারায়ন। তাঁর নাম নিয়েও তাঁর মা বলেছিলেন নাম ধনঞ্জয় হলেও আসল অর্থ বা উপার্জন হল জ্ঞান। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর মা ছিলেন তাঁদের বাড়ির প্রধান বিচারপতি। নিজের হাতে সংসার চালাতেন তাঁর মা।

এখানেই শেষ নয়, প্রধানবিচারপতি তাঁদের বাড়ির পরিচারিকার কথাও এদিন স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ভীমাবাই ভানু নামে এক মহিলার কাছেই তিনি তাঁর বোন বড় হয়েছিলেন। মহিলা সম্পূর্ণ অশিক্ষিত ছিলেন। তাঁদের পরিবারে আসার পরই নিজের নাম লিখতে শেখেন। কিন্তু সেই মহিলা ছিলেন তাঁদের অত্যন্ত প্রিয়। তিনি সেই মহিলার কাছে জীবনের মূল্যবোধ, গ্রাম্য জীবন সম্পর্কে জেনেছিলেন। এখনও সেই মহিলার কথা তাঁর নিত্যদিন মনে পড়ে।

চন্দ্রচূড় আরও বলেন, তাঁর বাবা জোর করে তাঁকে হিন্দি নিতে বাধ্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে হিন্দি শেখার সময়, তিনি মহাদেবী ভার্মা, জয়শঙ্কর ত্রিপাঠি, নিরালা, রামধারী সিং দিনকর এবং মুন্সি প্রেমচাঁদের মতো কিংবদন্তি লেখকদের কাজের সাথে পরিচিত হন। তিনি জানিয়েছিলেন প্রায় ৩০ বছর পরে তিনি যখন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারক হন তখন বুঝতে পেরেছিলেন হিন্দি পড়াটা কত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।