সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার ভোররাতে অসম ও বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটা স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫। মরিগাঁও থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল।

বৃহস্পতিবার ভোররাতে ফের ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল অসম ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অসমের মরিগাঁও জেলা, গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ কম্পন অনুভূত হয়। রিখটা স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫। আপাতত হতাহতের কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। তবে, আতঙ্কের জেরে রাস্তায় নেমে এসেছিলেন সাধারণ মানুষ।

২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা ১০ নাগাদ ভূমিকম্পন হয়েছিল। বঙ্গোপসাগরের ভূমিকম্পনের জেরে কেঁপেছিল কলকাতা, ভূবনেশ্বর সব পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা।

এর পর আজ ভোরে ফের হল কম্পন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ২টো ২৫ মিনিটে ভূমিকম্পন অনুভূত হয়েছে। এই কম্পন ভূপৃষ্ঠের ১৬ কিলোমিটার গভীরে হয় হলে জানা গিয়েছে। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মরিগাঁও থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে। এদিকে বাংলাদেশের সিলেটেও কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল শিলং-র ডাউকি ফল্টের কাছে হওয়ার কারণে আগামী ২৪ ঘন্টায় এই এলাকায় একাধিক আফটারশক হতে পারে বলে আশঙ্কা।

এমনিতে ভূমিকম্পন প্রবণ অঞ্চল অসম। রাজ্যটি সিসমিক জোন ৫-র কম্পন আওতায় পড়ায় সেখানে প্রায় ভূমিকম্পন হয়ে থাকে। এর আগে ১৯৫০ সালে অসম এবং তিব্বতে রিখটার স্কেলে ৮.৬ তীব্রতায় কম্পন হয়েছে। ১৮৯৭ সালে শিলংয়ে রিখটার স্কেলে ৮.১ তীব্রতায় কম্পন হয়েছে।

২৫ ফেব্রুয়ারিও কম্পন অনুভূত হয়। এই দিন কলকাতা থেকে ৩৫০ কিমি দক্ষিণে হয়েছিল এবং হলদিয়া থেকে ২৮৬ কিমি দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের ৯১ কিমি গভীরে কম্পন হয়েছিল। আজ আবার ফের হল ভূমিকম্পন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে ফের ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল অসম ও বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। অসমের মরিগাঁও জেলা, গুয়াহাটি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশ কম্পন অনুভূত হয়। এদিকে বাংলাদেশেও পশ্চিম প্রান্তের উপকূলের কিছু অঞ্চলে আজ কম্পন অনুভত হয়। গত সপ্তাহেও হয়েছিল ভূমিকম্প। সেদিন দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পন হয়েছিল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দিল্লির ধৌলাকুঁয়া। মাটি থেকে পাঁচ কিলোমিটার গভীর ছিল ভূকম্পনের কেন্দ্রস্থল।