সংক্ষিপ্ত
- সাতসকালে ভূমিকম্প মুম্বই-এ
- আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যায় বহু মানুষের
- অনেকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন
- যদিও, কম্পনের মাত্রা মারাত্মক পর্যায়ে ছিল না
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। আর তার মধ্যেই কেঁপে উঠল নাসিক ও মুম্বই-এর ভূমি। ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪১ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় নাসিকে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪। জানা যায় নাসিক শহরের ৯৮ কিলোমিটার পশ্চিমে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল। এই আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সাত সকালে ভূমিকম্প হয় মুম্বই-এ। সকাল ৬.৩৬ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ২.৭। মুম্বই-এর ৯৮ কিলোমিটার উত্তরে কম্পনের কেন্দ্র ছিল বলে জানা গিয়েছে।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি থেকেও জানানো হয় যে, মুম্বইয়ের ৯৮ কিলোমিটার উত্তরে এক মৃদু কম্পন অনুভূত হয় সকাল ৬.৩৬ মিনিটে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ২.৭। যদিও নাসিকের ভূমিকম্পের খবরটি রাতেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কম্পনে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত, জখমের খবর মেলেনি।
সাতসকালে এমন কম্পনে অবশ্য আতঙ্ক ছড়ায়। কম্পনের জেরে ঘুম ভেঙে যায় অনেকের। আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন অনেকে। মুম্বইয়ের তুলনায় নাসিকের কম্পনের মাত্রা ছিল বেশি। রাতে মানুষ তখন বিশ্রামের তোড়জোড় করছিল। সে সময় নাসিক শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলি কেঁপে ওঠে। এখানেও আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন মানুষ। যদিও, অনেকেই আবার ঘরের মধ্যেই ছিলেন। কম্পন বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। এটা ভেবেই প্রণাম ঠুকছেন নাসিকের মানুষ।
লকডাউনের মধ্যে গত কয়েক মাস ধরেই দেশের নানা প্রান্তে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। কিছুদিন আগেই হিন্দুকুশ পার্বত্য এলাকায় ভুমিকম্প হয়। যার জেরে প্রভাবিত হয়েছিল দিল্লি, পঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একাংশ। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার কৃষ্ণনগরেও অল্প দিনের ব্যবধানে দুই দুবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।