সংক্ষিপ্ত
একের পর এক ভূমিকম্পের জেরে আশঙ্কায় উত্তর ভারত। দিল্লির পর এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পঞ্জাব।
একের পর এক ভূমিকম্পের জেরে আশঙ্কায় উত্তর ভারত। দিল্লির পর এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পঞ্জাব। রবিবার মধ্যরাত, অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর রাত প্রায় সাড়ে ৩টের পর ভূকম্পন অনুভূত হল অমৃতসর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুযায়ী রিখটার স্কেলে গতকাল কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.১।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত সপ্তাহের বুধ ও শনিবার ভূমিকম্পের পর আজ সোমবার কম্পন হল পঞ্জাবে। এনসিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার গভীরে। রবিবার রাত প্রায় ৩:৪২ নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ভূকম্পনের উৎসস্থল ছিল পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম অমৃতসর। এই কম্পন বেশ কিছু ক্ষণ ধরেই চলছিল । তবে, কম্পনের জেরে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।
গত সপ্তাহে মাত্র ২-৩ দিনের ব্যবধানে পরপর ২ বার কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। মঙ্গলবার গভীর রাতে দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। তারপর শনিবার আবার কেঁপে ওঠে রাজধানী। সেদিন কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। দু’বারই কম্পনের উৎসস্থল ছিল নেপাল। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ দিল্লির ভূমিকম্প প্রায় ৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। দিল্লি লাগোয়া উত্তরপ্রদেশের নয়ডা, গুরুগ্রাম এমনকি লখনউতেও কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রাতের অন্ধকারেই আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছিলেন প্রচুর মানুষ।
মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ দিল্লিতে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তাতে প্রায় ৮ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। এর প্রভাব যথেষ্ট জোরাল ছিল বলে জানা গেছে। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার গভীরে।
বৃহস্পতিবার সকালে অরুণাচল প্রদেশেও ভূমিকম্প হয়। কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৭। সে দিন ভোরে আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারেও ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৩। ১০ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের কেন্দ্রস্থলে যে ভূকম্পন হয়েছিল, তার প্রভাবে নেপালে প্রভূত ক্ষতি হয়, অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়ে বহু মানুষ আহত হন। কম্পনের তীব্রতায় প্রাণও হারিয়েছেন অনেকে।
আরও পড়ুন-
টাকা বা গয়না হাতানোর জন্য গলা কেটে খুন করা হয়নি রায়গঞ্জের গৃহবধূকে, চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল পুলিশ
ইস্তানবুলে হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বড়সড় পুলিশি সাফল্য, পাকড়াও করা হল ১ ব্যক্তিকে
নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ শুরু হল শীতের কাঁপুনি দিয়ে, এক ধাক্কায় ২ ডিগ্রি পারদ পতন