সংক্ষিপ্ত

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দার্জিলিং থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে। সিকিম ও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে ভুটান এবং নেপালের বেশ কিছু এলাকায়। 

ভূমিকম্পে (earthquake) কেঁপে উঠল সিকিম (Sikkim)। এর জেরে রবিবার রাতে কম্পন অনুভূত হল দার্জিলিং (Darjeeling) ও জলপাইগুড়িতে। রবিবার রাত ৯ টা ৫০ মিনিটে কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে (Richter scale) কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। এই ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল গ্যাংটক থেকে ১৮ কিলোমিটার পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্বে। ভুটান সীমান্ত লাগোয়া পদমচেনের কাছে ছিল উফকেন্দ্র। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে রাতের দিকে কম্পন অনুভূত হওয়ায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের মনে। কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘরাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। আর কম্পন রাতের দিকে হওয়ায় আরও বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল স্থানীয়দের মধ্যে। কম্পনের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ৬ কিলোমিটার গভীরে। 

আরও পড়ুন- ক্যাম্পে আচমকাই গুলি চালাল জওয়ান, মৃত্যু চার সিআরপিএফ কর্মীর

ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দার্জিলিং থেকে ৬৫ কিলোমিটার উত্তর পূর্বে। সিকিম ও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা ছাড়াও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে ভুটান এবং নেপালের বেশ কিছু এলাকায়। 

আরও পড়ুন- 'ছেলে সীমান্ত অতিক্রম করেনি', কেন এই দাবি পাকিস্তানের গুলিতে নিহত শ্রীধরের মায়ের

এই মুহূর্তে বহু পর্যটক রয়েছেন দার্জিলিংয়ে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি কম্পনের জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল পর্যটকদের মনেও। পুজোর সময় দার্জিলিংয়ে ঘুরতে গিয়েছেন বহু বাঙালি পর্যটক। ফলে সেখানে এখন পর্যটকদের ভিড় রয়েছে। আর রাতের দিকে ভূমিকম্পের ফলে তাঁদের মনেও আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছিল।

এর আগে একমাসের মধ্যে দুবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল সিকিম সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। ১৮ অক্টোবর কম্পন অনুভূত হয়েছিল সিকিম ও দার্জিলিংয়ে। তখন রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৪। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নেপালের সিন্ধুপালচক। নেপালের সিসমোলজিক্যাল সেন্টার থেকে জানানো হয়, কাঠমান্ডু থেকে ১১৪ কিলোমিটার পূর্বে মধ্য নেপালের সিন্ধুপালচক জেলার পানফুং ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল। তার আগে ৮ অক্টোবর, ভূমিকম্পের জেরে কেঁপে উঠেছিল উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। রাত ১২টা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গা বিশেষ করে ধূপগুড়ি ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গা মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল। মায়ানমার ছিল এই ভূমিকম্পনের উৎসস্থল। রিখটার স্কেলে ওই কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫।

আরও পড়ুন- Fisherman Shot Dead: ভারতীয় মৎসজীবীকে গুলি করে হত্যা, পাকিস্তানের কার্যকলাপ নিয়ে তদন্ত শুরু

সিকিমের পাশাপাশি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ (Andaman and Nicobar island)। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। ভোর ৫টা ২৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। কম্পনের কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১৬ কিলোমিটার গভীরে। 

YouTube video player