সংক্ষিপ্ত

নির্বাচন কমিশন একটি বিবৃতিতে বলেছে, এই সহযোগিতায় আসন্ন নির্বাচনে বিশেষ করে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ও তরুণদের যোগদান বাড়াতে শচীনকে নিয়ে আসা হচ্ছে।

কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরকেই জাতীয় আইকন হিসেবে মনোনীত করল নির্বাচন কমিশন। বুধবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হবে। বৃহত্তর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ভোটারদের অংশগ্রহণে উৎসাহী করতেই শচীন তেন্ডুলকারকে মুখ করছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার তেন্ডুলকার ও নির্বাচন কমিশনের প্যানেলের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। তিন বছরের জন্য তেন্ডুলকরই থাকবেন দায়িত্বে। ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে ভোটদানের গুরুত্ব আর সচেতনতার প্রচার করবেন।

নির্বাচন কমিশন একটি বিবৃতিতে বলেছে, এই সহযোগিতায় আসন্ন নির্বাচনে বিশেষ করে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ও তরুণদের যোগদান বাড়াতে শচীনকে নিয়ে আসা হচ্ছে। শচীন তেন্ডুলকরের অতুলনীয় প্রভাবকে কাজে লাগানোর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সূত্রের খবর নির্বাচন কমিশন শচীন তেন্ডুলকরের সামনে এনে গ্রাম ও শহরের তরুণ ভোটাদের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে নির্বাচন কমিশন।

ভোটাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহ করতে অনুপ্রাণিত করতে নির্বাচন কমিশন জাতীয় আইকন হিসেবে বরাবরই বিশেষ ও বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে আনে। এবার সেই দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। গত বছর কমিশন অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীকে জাতীয় আইনকন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই আগে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের সময়ই ধোনি, আমির খান, মেরি কম-এর মত খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বদেরই জাতীয় আইকন নিয়োগ করেছিল। তবে এদের থেকেও অনেক বেশি জনপ্রিয় শচীন তেন্ডুলকর।

শুধুমাত্র ক্রীড়াবিদ হিসেবেই নয়, স্বচ্ছভাবমূর্তির জন্য বিশেষ পরিচিতি রয়েছে শচীন তেন্ডুলকরের। তিনি রাজ্যসভার সাংসদও ছিলেন। সেই সূত্র ধরে তিনি কিছু উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। শচীন যদি নির্বাচন কমিশনের জাতীয় আইকন হয় তাহলে দেশের তরুণ সমাজ যথেষ্ট উৎসাহী হবে বলেও নির্বাচন কমিশনের একটি অংশের দাবী। আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। চলতি বছর রাজস্থান মধ্যপ্রদেশেরসহ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ নির্বাচন কমিশনের মূল উদ্দেশ্যই হল যে কোনও নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভোটদান নিশ্চিত করা। সকলে যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নিজের ভোট নিজে দিতে পরে তারই চেষ্টা করা।