সংক্ষিপ্ত

নির্বাচন কমিশন AI-জেনারেটেড কন্টেন্ট, বিশেষ করে ডিপফেকের ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে স্বচ্ছতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছে। ভোটারদের বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারে ডিপফেকের অপব্যবহার: বিশ্ব দ্রুতগতিতে আर्टিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) ব্যবহারের দিকে এগিয়ে চলেছে। AI বিশ্বের চিন্তাভাবনা এবং ক্ষমতাকে বদলে দিয়েছে, কর্মক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলেছে। যাইহোক, AI-এর অপব্যবহার নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। গত কয়েক মাসে ডিপফেকের অপব্যবহারের কারণে এখন প্রতিটি দায়িত্বশীল ব্যক্তি উদ্বিগ্ন। ভারতে নির্বাচনের সর্বোচ্চ সংস্থা ECI, AI ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি না করলেও, প্রচারাভিযানে ডিপফেক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। AI-এর ক্রমবর্ধমান ব্যবহার এবং ভোটারদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা বিবেচনা করে, নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজনৈতিক দলকে AI সম্পর্কে নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকায় AI-জেনারেটেড কন্টেন্ট ব্যবহারে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

AI কন্টেন্ট নিয়ে কী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা 

  • নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলিকে বলেছে যে তারা AI প্রযুক্তি দ্বারা তৈরি বা সংশোধিত যেকোনো ছবি, ভিডিও, অডিও বা অন্যান্য কন্টেন্টে "AI-জেনারেটেড", "ডিজিটালি উন্নত" বা "সিন্থেটিক কন্টেন্ট" লেবেল যুক্ত করবে।
  • এছাড়াও, প্রচারণা কন্টেন্ট বা বিজ্ঞাপনের প্রচারের সময় যদি সিন্থেটিক কন্টেন্ট ব্যবহার করা হয়, তবে রাজনৈতিক দলগুলিকে স্পষ্টভাবে ডিসক্লেইমার যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সতর্কতা

ভারতের নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সম্প্রতি AI এবং ডিপফেক ব্যবহারের মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নিয়ে সতর্ক করেছেন। রাজীব কুমার বলেছেন যে ডিপফেক এবং ভুয়া তথ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আস্থা ক্ষুন্ন করতে পারে।

 

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এও ভুয়া খবরের জন্য নির্দেশিকা জারি হয়েছিল

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪-এও নির্বাচন কমিশন ভুয়া খবর রোধ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করে সোশ্যাল মিডিয়ার দায়িত্বশীলদের সতর্ক করেছিল। যদিও এর কোনও বিশেষ প্রভাব পড়েনি। নির্বাচন কমিশন বলেছে যে নির্দেশিকার উদ্দেশ্য হল প্রযুক্তির দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ভোটারদের বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করা।