সংক্ষিপ্ত
করোনার গ্রাফ প্রতিনিয়ত উর্ধ্বমুখী হচ্ছে। এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই করোনার ওপর জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা আরও ৭ দিন বহাল রাখল নির্বাচন কমিশন। ত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়া-এই পাঁচ রাজ্যে বহাল নিষেধাজ্ঞা।
ভোটের আগে বিভিন্ন জায়গায় কোভিড বিধিকে (Covid Restriction) বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভোটের প্রচার। বিভিন্ন এলাকার সেই বিচ্ছিন্ন ছবি বারবার উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, মণিপুর এবং গোয়া-এই পাঁচ রাজ্যে (Voting States) কোনও রাজনৈতিক দল কোনও জনসভা বা মিছিল করার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও বেশ কিছুদিন বাড়িয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণার সময় যে নিষেধাজ্ঞা নির্বাচন কমিশনের (Election Commission)তরফে জারি করা হয়েছিল সেটিই প্রায় আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত বহাল রাখা হল। কোভিড সংক্রমনের গ্রাফ বিভিন্ন জেলায় যেভাবে উর্ধ্বমুখী হচ্ছে সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই জারি করা নিষেধাজ্ঞাকে আরও বেশ এক সপ্তাহ বহাল রাখল নির্বাচন কমিশন (Covid Restriction Will Extenden For & Days More)। ভোটমুখী রাজ্যগুলির জন্য এই নিষেধাজ্ঞার সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে কোভিড সংক্রমনে কিছুটা লাগাম টানা যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কমিশনের এই নয়া সিদ্ধান্তের ফলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়বে বিরোধী দলগুলি। প্রকাশ্য জনসভার তুলনায় ভার্চুয়াল জনসভার খরচ অনেকটাই বেশি।
কমিশনের তরফে জারি করা পুরনো নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শনিবারই শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু করোনা ঝড়ের গতিতে বেড়ে চলেছে। এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন ভোটমুখী রাজ্যগুলির প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারির সময়সীমা এরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছেন। আগের মতই রাজনৈতিক দলগুলিকে ভার্চুয়াল মিটিং করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সমস্ত মিটিং মিছিল বন্ধ করতে বললেও, নির্বাচন কমিশনের একটি সিদ্ধান্তে বেশ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। কমিশনের তরফে জানান হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি এবার থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ জন নিয়ে ইন্ডোর মিটিং করতে পারবে। সেটা অবশ্যই হলের ৫০ শতাংশের বেশি দর্শক নিয়ে করা যাবে না।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি এই পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। সেসময় কোভিড পরিস্থিতিতে ভোটপ্রচারে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্র জানান, আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও রোড শো, পদযাত্রা, সাইকেল-বাইক র্যালি করা যাবে না। রাজনৈতিক দলের জনসভার ওপরও জারি করেছিলেন নিষেধাজ্ঞা। শুধু তাই নয়, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রেও বেঁধে দিয়েছিলেন শর্তাবলী। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোনও সভা বা পথসভা করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোনও প্রার্থী কোভিড বিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।