আইফোন তৈরির কারখানায় ধুন্ধুমারমজুরি না দেওয়ার অভিযোগ অ্যাপলের সহযোগী সংস্থার বিরুদ্ধেবিক্ষুব্ধ কর্মীরা ভাংচুর চালালেন কারখানায়আটক অন্তত ৮০  জন কর্মী 

কর্ণাটকের কোলার জেলার আইফোন তৈরির কারখানায় ধুন্ধুমার। শনিবার সকালে দুই মাস ধরে মজুরি না দেওয়া এবং অতিরিক্ত কাজ করানোর অভিযোগে কারখানায় ভাংচুর চালালেন অসন্তুষ্ট কর্মচারীরা। শেষে স্থানীয় পুলিশ এসে লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধ কর্মচারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ৮০ জনেরও বেশি কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে কোলার জেলার নরসাপুরায় কারখানাটিতে আইফোন তৈরির জন্য 'উইস্ট্রন কর্পোরেশন' নামে তাইওয়ানের এক সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তাইওয়ানিজ 'অ্যাপল' সংস্থা। এদিন উইস্ট্রন-এর বিরুদ্ধে এক হাজারেরও বেশি কর্মচারী একজোট হয়ে সঠিক সময়ে বেতন না দেওয়ার অভিযোগ করেন। এই বিষয়ে এদিন শিফট পরিবর্তনের সময় কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংস্থার উচ্চ-পদস্থ কর্মীদের এক বৈঠক ছিল। সেই আলোচনা ব্যর্থ হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীরা। কারখানার ভবনকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়, সংস্থার দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

Scroll to load tweet…

সংস্থার বিরুদ্ধে ওই কর্মীদের অভিযোগ তাঁরা জানিয়েছেন, মাসে ১৬০০০ টাকার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে বলা হয় মাসে ১২০০০ টাকা বেতন দেওয়া হবে। তারপর গত ৬ মাস ধরে ক্রমাগত বেতনের দিন পিছিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই করতে করতে এখন অধিকাংশ কর্মীদের প্রায় ২ মাসের উপর প্রাপ্য বেতন বাকি পড়েছে। এর আগে এই নিয়ে বেশ কয়েকবার ম্যানেজমেন্টের কাছে দাবি জানানো হলেও তাতে কাজ হয়নি। উল্টে যে কর্মীরা বিষয়টি নিয়ে সামনে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের অনেককেই বরখাস্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, অনেকেই এই নিয়ে কথা বলতে ভয় পেতেন। এদিন পুঞ্জীভূত ক্রোধ একসঙ্গে বেরিয়ে এসেছে।

Scroll to load tweet…

এখানেই শেষ নয়, সংস্থার পক্ষ থেকে ভারতের কারখানা লঙ্ঘন করার অভিযোগও এনেছেন কর্মীরা। কারখানা আইন অনুসারে, প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা হবে কাজের সময়। কিন্তু উইস্ট্রন কর্পোরেশন কর্মীদের ১২ ঘন্টা করে কাজ করাত বলে অভিযোগ।

Scroll to load tweet…

পুলিশ এদিন উইস্ট্রনের ৮০ জন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ভাঙচুর সংক্রান্ত কয়েকটি ধারায় নরসাপুরা থানায় একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। এসপি কার্তিক রেড্ডি বলেছেন, তাঁরা কারখানার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন। তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এদিকে অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ ট্রেড ইউনিয়ন বলেছে, কোলারের উইস্ট্রন কর্পোরেশনের কর্মচারীদের কোনও ইউনিয়ন না থাকায় শ্রমিকদের অধিকারের লড়াইয়ে বিশৃঙ্খলা দেখা গিয়েছে। বেতন দিতে দেরি করা নিয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়াতেই তারা রেগে গিয়েছিল।