সংক্ষিপ্ত
পূর্ব রেলে ইউনিয়নের মান্যতা নির্বাচনে বামপন্থী ইআরএমইউ এবং কংগ্রেসপন্থী ইআরএমসি উভয়ই স্বীকৃতি পেয়েছে। ইআরএমইউ ৪২% এবং ইআরএমসি ৪০% ভোট পেয়েছে।
পূর্ব রেলে ইউনিয়নের মান্যতা নির্বাচনে ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়ন প্রথম স্থানে। হেড কোয়াটার, শিয়ালদহ, কাঁচড়াপাড়া এবং লিলুয়াতে প্রথম স্থানে বাম প্রভাবিত মেন্স ইউনিয়ন। হাওড়া, আসানসোল, জামালপুর, মালদাতে জাতীয় কংগ্রেস প্রভাবিত ইস্টার্ন রেলওয়ে মেন্স কংগ্রেস প্রথম স্থানে। সামগ্রিক ভাবে দেখতে গেলে বাম পন্থী ইআরএমইউ ৪২ শতাংশ এবং কংগ্রেস পন্থী ইআরএমসি ৪০ শতাংশ তাছাড়াও বিজেপি প্রভাবিত সংগঠন ৬.৬ শতাংশ এবং তৃণমূল প্রভাবিত সংগঠন ইআরটিএমসি ৬.২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে।
রেল কর্মচারী সমিতির নিয়ম হল কোনও ইউনিয়ন ৩৫ শতাংশের বেশি ভোট পেলে তবেই তাকে বৈধ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এবার ভোটে ইআরএমইউ এবং ইআরএমসি - দুই ইউনিয়নই স্বীকৃতি পেয়েছে। আগামী দিনে পূর্ব রেলের কর্মচারীদের নানান দাবি দাওয়া সংক্রান্ত বিষয় এবং নানা অসুবিধার কথা উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পাবে বামপন্থী এবং কংগ্রেসপন্থী দুই ইউনিয়নের সদস্যরা। সাধারণত প্রতি ছয় বছর অন্তর ইউনিয়নে মান্যতা নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু, ২০১৩ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। গত ৪, ৫ এবং ৬ ডিসেম্বর এই ইউনিয়নের মান্যতা নির্বাচন হয়। প্রায় ৮০ হাজার পূর্ব রেলের কর্মী ভোট দেন।
দক্ষিণ পূর্ব রেলওয়ে এমনকী কলকাতা মেট্রোতেও শুধুমাত্র মান্যতা পেয়েছে মেন্স ইউনিয়ন। চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানাতে প্রথম স্থান দখল করেছে সিএলডাব্লিউ-এলইউ ইউনিয়ন। এছাড়াও সার্দান রেলওয়ে (চেন্নাই), সাউথ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে (হুবলি), নর্দান রেলওয়ে (দিল্লি), সাউথ সেন্ট্রাল রেলওয়ে (সেকেন্দ্রাবাদ) অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে ফেডারেন্স -র অন্তর্গত ইউনিয়নই প্রথম স্থান দখল করেছে।