সংক্ষিপ্ত

অনিল কুমার অ্যান্টনির পর এবার কংগ্রেস ছাড়লেন কিরণ কুমার রেড্ডি। দিল্লিতে বিজেপি কার্যালয়ে দল বদল করেন তিনি।

 

অনিল অ্যান্টনির ধাক্কা সামলে ওঠার পরেই আবার ধাক্কা খেল কংগ্রেস। এবার দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কিরণ কুমার রেড্ডি। ২০১৪ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের থেকে আলাদা করে তেলাঙ্গনা গঠনের আগে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। দলের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে চলতি বছরই মার্চ মাসে কংগ্রেসের সদস্যপদ ত্যাগ করেন। তারপর থেকেই তাঁর গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে সব জল্পনা শেষ করে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।

আগামী বছরই অন্ধ্র প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনও রয়েছে। তাই রেড্ডির এই দল বদল বিজেপিকে বিশেষ সুবিধে পাইয়ে দেবে বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ অন্ধ্রের ক্ষমতায় রয়েছে ওয়াইআরএস কংগ্রেস। প্রধান বিরোধী তেলেগু দেশম পার্টি। বিজেপি নিজেদের ভিত এই রাজ্যে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে।

৬২ বছরের কিরণ কুমার রেড্ডি এর আগেও কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন। নিজের নতুন দল জয় সমকীয়ন্দ্র গঠন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি। তাই ২০১৮ সালে আবার কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেন। কিন্তু দ্বিতীয় দফায় কংগ্রেসে যোগদান করেও রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রীয় ছিলেন। কংগ্রসেরে একাধিক দলীয় বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত থাকতেন। তাই ২০১৯ সাল থেকেই তাঁর দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছিল।

বিজেপির আশা কিরণ কুমার রেড্ডি রায়ালসীমা এলাকায় বিজেপির শক্তি বাড়াবে বলেও আশা করা হচ্ছে। এই অঞ্চলে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। বিজেপি তাঁকে সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবেও প্রজেক্ট করতে পারে। এই রাজ্যে তৃতীয় বিপল্প হিসেবে বিজেপি নিজেকে তুলে ধরতে মরিয়া। রেড্ডি দিল্লিতে দলের প্রধানকার্যালয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। কিনি বলেছিলেন যে উন্নয়ন ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গি তিনি পুরোপুরি সমর্থন করেন। গতকালই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন একে অ্যান্টনির ছেলে অনিল কুমার অ্যান্টনি। যদিও দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কংগ্রেসের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীর আদর্শের কথা তুলে ধরছিলেন। যা নিয়ে অনেকেই তাঁর দল বদলের একটা আভাস পেয়েছিল।