সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার ১৩ বছর পার করল পা দিল মুম্বই হামলা বিস্ফোরণ। কখনই ভূলব না বলে এদিন সকালে টুইট বার্তা দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
শুক্রবার ১৩ বছর পার করল পা দিল মুম্বই হামলা বিস্ফোরণ( Mumbai attacks )। উল্লেখ্য, ঠিক ১৩ বছর আগে ২০০৮ সালে আজকের দিনটাতেই সন্ত্রাসবাদী হামলা চলেছিল মুম্বই শহরে। ভয়ঙ্কর সেই হামলায় মুম্বইয়ের মোট ৬ আমেরিকান-সহ ১৬৬ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রতিবছর এইদিনটায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ে মুম্বই তথা গোটা ভারতবর্ষ। কখনই ভূলব না বলে এদিন সকালে টুইট বার্তা দিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ( External Affairs Minister S Jaishankar)।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর পাকিস্তানের জঙ্গি আজমল কাসভ-সহ একাধিক জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশ করে। পাশাপাশি ছত্রপতি শিবাজি রেলস্টেশন, তাজহোটেলসহ একাধিক জায়গায় হামলা চালায়। ভয়ঙ্কর সেই হামলায় ৬ আমেরিকান-সহ ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়। এই হামলার জীবিত জঙ্গি হিসেবে একমাত্র আজমল কাসভকেই গ্রেফতার করেছিল ভারত। বাকিরা সকলেই নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়। লম্বা বিচারপক্রিয়া পেরিয়ে কাসভকে ফাঁসি দেওয়া হয়। কিন্তু বিচারে আরও একাধিক জঙ্গিদের নাম সামনে আসে। কিন্তু তাঁদের এখনও বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যেই আনা যায়নি।
মুম্বই বিস্ফোরণে আরও এক অন্যতম মাথা ছিল দাউদ গিলানি। মার্কিন আদালতে গিলানির সাক্ষ অনুযায়ী জানা যায় যে, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার কৌশল, আইএসআই-র কাছ থেকেই পেয়েছিল। এই কাজের জন্য তাঁকে ২৯ হাজার ৫০০ ইউর দেওয়া হয়েছিল। যা তিনি পেয়েছিলেন একজন আইএসআই অফিসারের কাছ থেকে। মার্কিন আদালতের নথিতে যিনি মেজর ইবাল নামে পরিচিত।বাকি অর্থ এসেছিল হ্যাডলির কাছে, সাজিদ-ওয়াজিদ নামের এক আইএসআই অপারেটরের কাছ থেকে। যিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার কাছে মাজিত মির নামে পরিচিত। বহিরাগত অপারেশনের প্রধান ছিল এই মাজিতই।
ভারতীয় তদন্তকারীদের জেরার সময় হেডলি জানিয়েছিলেন, ২০০৭ সাল থেকেই এআইটি নতুন ক্যাডার নিয়ে একটা আলাদা গোষ্ঠী গঠন করতে চেয়েছিল। ভারতের উপর হামলা চালিয়ে বিশ্বের দরবারে একটি জেহাদি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। মুম্বই হামলার জন্য যে বন্দুকধারীদের পাঠানো হয়েছিল, তাঁরা সিন্ধু প্রদেশের লঙ্করই তইবার একটি শিবিরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। আইএসআই-র তরফে তাঁদেরকে ভারতের জলসীমা পার করে দেওয়া হয়। আর তারপরে ভারতের বুকে নেমে আসে অন্ধকারতম দিন।
মৃত্যুর আগে জঙ্গি আজমল কাসভ জানায় ২৬/ ১১ হামলার জন্য মুম্বইয়ে ১৫ জন জঙ্গি প্রবেশ করেছিল। কাসভের এই তথ্যের ভিত্তিতেই নিরাপত্তা বাহিনী বাকি ৫ জঙ্গিকে খুঁজছে। যেসকল নিরাপত্তা বাহিনীর রক্ষী এই জঙ্গি হামলায় প্রাণ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন, তৎকালীন মুম্বইয়ের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াডের প্রধান হেমন্ত কারকারে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর সন্দিপ উন্নিকৃষ্ণণ, মুম্বই পুলিশের অ্যাডিশনাল কমিশনার অশোক কামতে এবং সিনিয়র পুলিশ ইন্সপেক্টর বিজয় সালসাকর।