সংক্ষিপ্ত

করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিলেই নাকি সেখানে লাকি ড্রতে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। আর যদি কোনওভাবে ভাগ্য সহায় হয় তাহলেই মিলে যেতে পারে টিভি অথবা ফ্রিজ।

যত দ্রুত সম্ভব করোনার টিকাকরণ (Corona vaccination) সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central government)। কিন্তু, কোনওভাবে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ (second dose) নিতে চাইছেন না অনেকেই। আর সেই কারণেই টিকাকরণে উৎসাহ দিতে নয়া উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বিহারে (Bihar government)। 

করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিলেই নাকি সেখানে লাকি ড্রতে (lucky draw) অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। আর যদি কোনওভাবে ভাগ্য সহায় হয় তাহলেই মিলে যেতে পারে টিভি অথবা ফ্রিজ (TVs and refrigerators)। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকছে এই লাকি ড্র। যারা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তাঁদের জন্যও চালু থাকবে এই লাকি ড্র। মূলত বিহারের ৭৩.৪৪ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ককে টিকাকরণের আওতায় আনার জন্য এই বিশেষ উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। 

আরও পড়ুন- করোনার নতুন রূপ ভয়াবহ হতে পারে, কেন্দ্র চিঠি লিখে সতর্ক করল রাজ্যগুলিকে

এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, "এই লাকি ড্র প্রতিযোগিতা ২৭ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু থাকবে। প্রতিটি ব্লকের জন্য একটি বাম্পার প্রাইজও থাকবে। আর বাকি ১০ জনের জন্য প্রতি সপ্তাহেই থাকবে সান্ত্বনা পুরষ্কার। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা চালু থাকবে। ২ হাজার ৬৭০জনের জন্য থাকবে বাম্পার প্রাইজ। আর ২৬ হাজার ৭০০ জন পাবেন সান্ত্বনা পুরষ্কার। আর জেলা ভিত্তিতে ১১৪ জনকে মাসিক গ্র্যান্ড প্রাইজ দেওয়া হবে।" 

আরও পড়ুন- মহামারি-মুক্তির আশার আলোয় নতুন মেঘ, মিলল টিকা-প্রতিরোধী করোনা ভেরিয়েন্ট

দেশে করোনা সংক্রমণের গতি আগের থেকে কম হলেও এখনও পর্যন্ত দেশ থেকে পুরোপুরি বিদায় নেয়নি এই ভাইরাস। আর সেই কারণেই চলতি বছরের মধ্যে টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু, বিভিন্ন জায়গার মানুষ করোনার দ্বিতীয় ডোজ আর নিতে চাইছেন না। তাঁদের মতে, একটা ডোজেই করোনাকে জয় করা সম্ভব হবে। বিহারে এই ঘটনা সবথেকে বেশি পরিমাণে দেখা গিয়েছে। এ নিয়ে মঙ্গল পাণ্ডে বলেন, "করোনা টিকার একটি ডোজ কখনওই সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না।"

পরিসংখ্যান বলছে, বিহারে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার প্রবণতা বেশ কম। বুধবার পর্যন্ত বিহারে ৭৭.২৩ মিলিয়ন টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্য়ে ৫৩.২১ মিলিয়ন পেয়েছেন প্রথম ডোজ। আর টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে ২৪.০২ মিলিয়নের। অর্থাৎ মাত্র ২৪.০২ মিলিয়ন দুটি ডোজই নিয়েছেন। এদিকে চলতি বছরের শেষেই রাজ্যের বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কের টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চায় রাজ্য সরকার।

বিহারের কাটিহার জেলার এক কাউন্সিলর মঞ্জুর খান চলতি বছরের জুন মাসে প্রথম এই ধরনের পুরষ্কারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার ফলও ভালোই পেয়েছিলেন তিনি। রেকর্ড টিকাকরণ হয়েছিল ওই জেলায়।