সংক্ষিপ্ত
ফ্লাইটে ভ্রমণের সময় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। মন্ত্রক বলেছে যে কোভিড -১৯ পরিচালনার প্রতিক্রিয়ার জন্য গ্রেডেড পদ্ধতির সরকারের নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাস্ক পরা নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের। বুধবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক জানিয়েছে যে বিমান ভ্রমণের সময় আর মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়। এই বিবৃতিতে মন্ত্রক অবশ্য যোগ করেছে যে তবে করোনভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা হ্রাস হওয়া সত্ত্বেও তাদের মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের জারি করা আদেশে বলা হয়েছে, "বিমান ভ্রমণের সময় মাস্ক বা মুখের কভারের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কিত বিষয়টি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের সাথে পরামর্শ করে পর্যালোচনা করা হয়েছে।"
এখন পর্যন্ত, ফ্লাইটে ভ্রমণের সময় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক ছিল। মন্ত্রক বলেছে যে কোভিড -১৯ পরিচালনার প্রতিক্রিয়ার জন্য গ্রেডেড পদ্ধতির সরকারের নীতির সাথে সঙ্গতি রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অগাষ্ট মাসেই এক নির্দেশিকায় ডিজিসিএ জানিয়েছিল বিমান যাত্রায় মাস্ক না পরলে অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী, যথাযথভাবে কেউ যদি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করে তাহলেও কড় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ডিজিসিএ বলেছিল কোনও যাত্রী যদি এই নির্দেশিকা মানতে না চায় তাহলে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দিতে হবে। এমনকী এর বাইরেও আরও কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে বিমান সংস্থা। এমন নির্দেশও নাকি দিয়েছে ডিজিসিএ।
দেশে কোভিডের কতজন সক্রিয় মামলা রয়েছে?
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে ৭,৫৬১, যা মোট মামলার ০.০২ শতাংশ। একই সময়ে, রোগীদের সুস্থ হওয়ার জাতীয় হার ৯৮.৭৯ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত, দেশে মোট ৪,৪১,২৮,৫৮০ জন সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন, যেখানে কোভিড -১৯ থেকে মৃত্যুর হার ১.১৯ শতাংশ।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, হাইব্রিড অনাক্রমত্যা ভারতের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভাইরাসটি দীর্ঘ দিন ধরেই থেকে যাবে। এটি চিরতরে বিনষ্ট হওয়ার পরিবর্তে স্থানীয় হয়েই থেকে যাবে। মাস্ক ধীরে ধীরে বাতিলের খাতায় চলে যাবে। ইতিমধ্যেই মহামারির স্মৃতি মানুষের মনে বিবর্ণ হতে শুরু করেছে। মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে।
এই মন্তব্য করে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু আর হচ্ছে না। আক্রান্তের সংখ্যাও অনেক কম। কিন্তু সতর্ক থাকাটা জরুরি। কোভিড নিয়ে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার সপেক্ষেই তাঁরা যুক্তি দিয়েছেন।