সংক্ষিপ্ত

দুইমাসের বেশি সময় ভারতবাসী সয়েছেন লকডাউনের যন্ত্রণা

আনলক শুরু হতেই ভারতে হুহু করে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভারতে ফের ১৫ জুন থেকে ফিরছে লকডাউন

এটা কি সত্যি না নিতান্তই ভুয়ো খবর

দুইমাসের বেশি সময় ধরে ভারতে চলেছে লকডাউন। তারপর সেই পর্ব কাটিয়ে এখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার পর্ব চলছে ভারতে। যাকে বলা হচ্ছে আনলক। কিন্তু, এরমধ্য়েই দারুণ দাপট বাড়ছে করোনাভাইরাসের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকেও বুধবার বলা হয়েছে এটা লকডাউন তোলার আদর্শ সময় নয়। তাহলে কি ভারতে ফের ১৫ জুনের পর থেকে ফিরতে চলেছে লকডাউন?

এই নিয়ে একটি প্রথম সারির সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়মের স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। শুধু তাই নয়, গত দুইদিন ধরেই এই বিষয়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ভারত থেকে অনুসন্ধানের সংখ্যা বেড়েছে হুহু করে। যে স্ক্রিনশটটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাতে দাবি করা হচ্ছে আনলক পর্বে যেভাবে ভারতে একটানা করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে ১৫ জুনের পর ভারতে ফের সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করার ভাবনা চিন্তা চলছে। ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে যাবতীয় উড়ান ও রেল যোগাযোগ।

স্বাভাবিকভাবেই, এই নিয়ে জনমানসে প্রবল কৌতূহল তৈরি হয়েছে। এর আগে আচমকা লকডাউন জারি হওয়ায় অনেকেই কাজকর্ম গুছিয়ে নেওয়ার সময় পাননি। এবার তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিতে চাইছেন অনেকেই। তাই এশিয়ানেট নিউজ বাংলার অনেক বন্ধুই জানতে চেয়েছেন এই খবর আদৌ সঠিক কি না।

এশিয়ানেট নিউদ বাংলার পক্ষ থেকে ওই ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটের কিওয়ার্ডস অর্থাৎ, ১৫ জুন, ভারতে লকডাউন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মতো প্রধান প্রধান শব্দবন্ধ নিয়ে গুগল  সার্চ ইঞ্জিনে সন্ধান চালানো হয়। আর তা করতে গিয়েই দেখা গিয়েছে, যে সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ বলে এই দাবি করা হচ্ছে, সেই সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকেই বিবৃতি দিয়ে এই সংবাদ অসত্য বলা হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য  মন্ত্রকের পক্ষ থেকে পিআইবি-র তথ্য যাচাই বিভাগও এই তথ্যকে অসত্য বলে জানানো হয়েছে।

অর্থাৎ, এই স্ক্রিনশট এবং দাবি দুটিই সম্পূর্ণ ভুয়ো। ১৫ জুন থেকে আবার লকডাউনের দিনে ফিরছে না ভারত। সচল থাকবে ট্রেন ও উড়ান যোগাযোগও। তবে আনলকের সময় প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককেই দায়িত্ব নিতে হবে, যাতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার যতটা সম্ভব কম রাখা যায়। মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার, সামাজিক দূরত্বের বিদি মেনে চলতে হবে। নাহলে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, বাধ্য হয়ে ফের লকডাউনের রাস্তায় ফিরতেই হতে পারে ভারতকে।