সংক্ষিপ্ত
- কৃষক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে
- আগামী দিনে ৪০ লক্ষের সমাবেশ হবে
- হরিয়ানা গিয়ে হুঁশিয়ারি কৃষক নেতার
কৃষক আন্দোবলন আরও বড় রূপ নেবে।ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়বে গোটা দেশে। মঙ্গলবার হরিয়ানার কুরক্ষেত্র জেলার পেহোয়ায় কিষাণ মহাপঞ্চায়েতের সমাবেশের যোগ দিয়ে এমনই দাবি করেছেন কৃষক আন্দোলেনের নেতা রাকেশ টিকাইত। বর্তমানে তিনি দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন। ভারতীয় কৃষক আন্দোলনের এই নেতাকে দেখতি রীতিমত ভিড় বাড়ছে কৃষক মহাপঞ্চায়েত গুলিকে। এদিন রাকেশ টিকাইত বলেন এখন আর ৪ লক্ষ নয় ৪০ লক্ষ ট্র্যাক্টরের মিছিল করার লক্ষ্যে নিয়েই তাঁরা এগিয়ে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে কৃষক আন্দোলনে সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন। তিনি আন্দোলনে সমর্থনকারীদের সমালোচনা করে আন্দোলনজীবি বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তারই উত্তর দিতে গিয়ে এদিন রাকেশ টিকাইত বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে কখনও আন্দোলনের অংশ হননি। একই সঙ্গে তিনি বলেন ভগৎ সিং এমনকি লালকৃষ্ণ আডবানিও আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। হরিয়ানা কৃষক মহাপঞ্চায়েতে কেন তিনি যোগ দিয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি পাল্টা প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন হরিয়ানাতে কি জনসভা করা নিষিদ্ধ। রবিবার রাজস্থানে একটি কৃষক মহাপঞ্চায়েতে অংশ গ্রহণ করেছিলেন রাকেশ টিকাইত।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে দু মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। সমস্যা সমাধানে একের পর এক বৈঠক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও কৃষকরা। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি।এই অবস্থায় রাজ্যসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্দোলন শেষ করার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকদের উদ্দেশ্যে। একই সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসারও প্রস্তাব দিয়েছেন।