সংক্ষিপ্ত

  • জলসঙ্কট এমন এক সমস্যা যা কপালে ভাঁজ ফেলছে দেশবাসীর
  • এই সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করতে এগিয়ে এলেন জিতেন্দ্র চৌধুরি
  • চাষির ছেলে জিতেন্দ্র তৈরি করে ফেললেন ওয়াটার পিউরিফায়ার
  • এই পিউরিফায়ার ব্যবহারে অতিরিক্ত বৈদ্যুতিক খরচ নেই

জল সঙ্কট, দেশবাসীর কপালে ভাঁজ ফেলে দেবে এমনই একটি সমস্যা। কিন্তু উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা এই সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় কী? এই প্রশ্নের উত্তরে যখন অনেকেই গভীর চিন্তায়, ঠিক তখনই রতলামে এক চাষির ছেলে আবিষ্কার করে ফেললেন ওয়াটার পিউরিফায়ার। যা আগামী দিনে এই সমস্যা সমাধানে আশার আলো দেখাবে।

মধ্যপ্রদেশের রতলামের একটি গ্রাম দেঙ্গামাল। কয়েক বছর ধরে এই গ্রামটি জলসঙ্কটে ভুগছে। এই গ্রামেরই বাসিন্দা জিতেন্দ্র চৌধুরি। চাষির ছেলে জিতেন্দ্র খুব কাছের থেকে এই জল নিয়ে এই সমস্যাকে দেখেছে। তবে সমস্যা নিয়ে বসে থাকায় নয়, তার সমাধান কী উপায়ে হবে সেই চিন্তায় ভাবিয়ে তুলেছিল জিতেন্দ্রকে।

গরুর এ কেমন জাবর কাটা, পেট চিরে বার করতে হল ৫২ কিলো প্লাস্টিক

এমআইটি উজ্জয়ন থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে জিতেন্দ্র হাতে কলমে কাজ শুরু করে দেন। কারণ তার কাছে একটা বিষয় স্পষ্ট ছিল, জল পুনরায় ব্যবহার করা যায় কিন্তু তৈরি করা যায় না। আর এই কাজ করতে গিয়েই জিতেন্দ্র তৈরি করে ফেলেন একটি ওয়াটার পিউরিফায়ার, যার নাম দেন শুদ্ধম। 

অত্যন্ত কম মূল্যের এই ওয়াটার পিউরিফায়ার প্রতিদিন ৫০০ লিটার অপরিশোধিত বা অপরিষ্কার জল পরিশোধন করতে সক্ষম। এবং বাড়ির সমস্ত কাজে এই জল অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারবেন সকলে। এই পরিশোধনের জন্য অতিরিক্ত কোনও বৈদ্যুতিক খরচও নেই।   

নুন আনতে পান্তা ফুরনোর অবস্থা, হিরে পেয়ে রাতারাতি ধনি বনল কৃষক

শুদ্ধম ছয় মাসে ৯০,০০০ লিটার জল পরিশোধন করতে পারে। এটি তৈরি করতে ৭,০০০ টাকা ব্যয় হয়েছে বলে জানা যায়। আর এর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে খরচ ৫০০-৭০০ টাকা।  
ইতিমধ্যেই জিতেন্দ্র এই পিউরিফায়ার বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার যাতে করা যায় তার জন্য পেটেন্ট-ও ফাইল করেন। আর এই পেটেন্ট-এর পরই বিভিন্ন সংস্থা থেকে জিতেন্দ্রর কাছে বহু পরিমাণে অর্ডার এসেছে। রাজস্থান থেকে উত্তরাখণ্ড, ক্রমশই চাহিদা বাড়ছে শুদ্ধম-এর।