সংক্ষিপ্ত
পুলিশের ক্রমাগত জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহারের ফলে কৃষকরা দিল্লী চলো মার্চ থেকে সাময়িকভাবে পিছু হটেছেন।
পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকদের দিল্লী চলো মার্চ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পুলিশের ক্রমাগত জলকামান ও কাঁদানে গ্যাসের ব্যবহারের ফলে কৃষকরা দিল্লী চলো মার্চ থেকে সাময়িকভাবে পিছু হটেছেন। এই সংঘর্ষে ১৫ জনেরও বেশি কৃষক এবং একজন সাংবাদিক আহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে বলে কৃষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে। এদিকে, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কেন্দ্র প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতিন প্রসাদ।
কৃষকদের দিল্লী চলো মার্চ সীমান্তে আটকে দিয়েছে পুলিশ। জলকামান এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছে প্রচুর মাত্রায়। শম্ভু সীমান্তে সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করা হয়েছে বলে কৃষকরা অভিযোগ করেছেন। দিল্লী মার্চ থেকে সাময়িকভাবে পিছু হটলেও আন্দোলন থেকে পিছু হটবে না বলে কৃষকরা জানিয়েছেন। পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে কৃষকরা বৈঠক করবেন।
উল্লেখ্য, শম্ভু সীমান্তে বিক্ষোভরত কৃষকরাই দিল্লী চলো মার্চ করছেন। মার্চ না করার জন্য পুলিশ ও কৃষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। ওই এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্ধসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে শম্ভু সীমান্তে বিভিন্ন দাবিতে পাঞ্জাবের কৃষকরা বিক্ষোভ করছেন। বাধা ভেঙে দিল্লিতে মার্চ করার কোনও ইচ্ছা নেই, শান্তিপূর্ণ মার্চই উদ্দেশ্য বলে আন্দোলন সম্পর্কে কৃষক নেতারা জানিয়েছেন।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।