সংক্ষিপ্ত
বিজয়পুরা জেলার কৃষকরা ১৯ অক্টোবর হুবলি ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (হেসকম) অফিসে পৌঁছেছিলেন। কৃষকরা তাদের সাথে একটি বিশাল কুমির নিয়ে যায়।
বিক্ষোভ দেখানোর নানা উপায় আছে। মজার মজার নানা ঘটনাও চোখে পড়ে। তবে কর্ণাটকের কৃষকরা যেভাবে বিদ্যুত সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন, তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সোশ্যাল মিডিয়ার। কর্ণাটকের বিজয়পুরা জেলার কৃষকরা বিদ্যুৎ সংস্থার অফিসে বিক্ষোভ করতে এলে তাদের সঙ্গে একটি বিশাল কুমিরও ছিল। কৃষকরা এই কুমিরটিকে বিদ্যুৎ কোম্পানির অফিসে রেখে পরে কর্মকর্তাদের কাছে তাদের সমস্যার কথা জানান। কৃষকরা প্রায় ৫ দিন আগে অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর এই বিক্ষোভ করেছিলেন, কিন্তু ২৪ অক্টোবর এর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।
বিজয়পুরা জেলার কৃষকরা ১৯ অক্টোবর হুবলি ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (হেসকম) অফিসে পৌঁছেছিলেন। কৃষকরা তাদের সাথে একটি বিশাল কুমির নিয়ে যায়। এটিকে তারা রনিহালা গ্রামের একটি ক্ষেত থেকে ধরেন। কৃষকরা কুমিরের মুখ ও পা বেঁধে রাখলেও বিদ্যুৎ কোম্পানির অফিসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে আধিকারিকদের সামনে রাখে। এটা দেখে অফিসাররা রীতিমত কেঁপে ওঠেন। এরপর কৃষকরা তাদের বিদ্যুৎ সংকট সংক্রান্ত সমস্যা তুলে ধরেন। কৃষকরা হেসকম কর্মকর্তাদের প্রশ্ন করেছেন, রাতে নলকূপ চালাতে গিয়ে যদি কোনো কৃষককে সাপ, বিছে বা কুমির কামড়ে নিয়ে যায়, তাহলে কর্মকর্তারা কি ব্যবস্থা নেবেন?
আসলে কর্ণাটকে বিদ্যুৎ সংকট চলছে। এ কারণে গ্রামে গ্রামে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে এবং নলকূপ চালানোর জন্য কৃষকদের রাতে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের টেবিলে কুমিরটি রাখার পর তিনি তাদের কাছে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ দেওয়ার দাবি জানান। কৃষকরা জানান, আমাদের ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। তাই দিনের বেলায় থ্রি-ফেজ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা উচিত।
তবে তথ্য অনুযায়ী, কৃষকদের আনা কুমিরটি পরে বিদ্যুৎ অফিসে পৌঁছানোর পর বন বিভাগের দল উদ্ধার করে। কুমিরটিকে আলমট্টি নদীতে ছেড়ে দিয়েছে বন বিভাগের দল। কৃষকদের এই অভিনব বিক্ষোভের ৫ দিন পার হলেও তাদের সমস্যার সমাধান হয়নি।