সংক্ষিপ্ত
উন্নাও নির্যাতিতার মৃত্যু দিল্লির হাসপাতালে
অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড চান মৃতের বাবা
প্রয়োজনে হায়দরাবাদের মতো এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল অভিযুক্তদের
হায়দরাবাদে নির্যাতিতার মা চেয়েছিলেন তাঁর মেয়ের মতোই অভিযুক্তদের পুড়িয়ে মারা হোক। আর উন্নাওয়ের নির্যাতিতার বাবাও সাফ জানিয়ে দিলেন, কোনও ক্ষতিপূরণ নয়, মেয়ের প্রাণের পাল্টা ধর্ষক এবং খুনিদের প্রাণ চান তিনি।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে উন্নাওয়ে পাঁচ ব্যক্তি এই তরুণীকে গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। চলতি বছরের মার্চ মাসে গ্রেফতার হয় তিন জন। তার মধ্যে দুই মূল অভিযুক্ত শুভম এবং শিবম ত্রিবেদী মাসখানেক আগে ছাড়া পেয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা যখন আদালতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তাঁর উপরে হামলা চালায় পাঁচজন। আদালতে যাওয়ার বিষয়ে নির্যাতিতা অনড় থাকায় প্রথমে ছুরি চালিয়ে গলায় আঘাত করা হয়। তার পর নির্যাতিতার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। নির্যাতিতাকে দিল্লি নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু হলেও শুক্রবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
তেইশ বছর মেয়ের নৃশংস পরিণতির পর একইসঙ্গে ক্ষোভ এবং হতাশা গ্রাস করেছে নির্যাতিতার পরিবারকে। নির্যাতিতার বাবা সাফ জানিয়েছেন, অর্থের লোভ তাঁদের নেই। চাই না অন্য ক্ষতিপূরণও। কিন্তু তাঁর মেয়ের উপরে পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে যারা তাঁকে চিরতরে সরিয়ে দিল, অবিলম্বে তাদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছেন তিনি। স্পষ্ট বলেছেন, প্রাণের বদলে প্রাণই চাই তাঁর।
এ দিন সন্ধেতেই উন্নাও পৌঁছয় নির্যাতিতার নিথর দেহ। রবিবার সেখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার স্বভাবতই এই ঘটনায় প্রবল চাপে। রাজ্যের আইনমন্ত্রীর দাবি, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে দ্রত এই মামলার বিচার শুরু হবে। প্রতিদিন মামলার শুনানি চালিয়ে ছ' মাসের মধ্যে অভিযুক্তদের কঠোরতম সাজা দেওয়ার জন্য সরকার চেষ্টা করবে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, অভিযুক্তরা যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন, এই ঘটনায় কাউকেই রেয়াত করা হবে না।