সংক্ষিপ্ত

 

আবারও বয়কট ট্রেন্ডে ক্যাডবেরি। প্রিয় চকোলেট খেলে আঘাত দেওয়া হবে হিন্দু ধর্মের অনুভূতিকে। ধর্মের কথা বলে ক্যাডবেরি খেতে নিষেধ নেটিজেনদের।

মিষ্টির জায়েন্ট বলা যেতে পারে আবার চকোলেটেরও জায়েন্ট বলা যেতে পারে ক্যাডবেরিকে। ৮-৮০ অনেকেরই প্রিয় ক্যাডবেরি। এবার সেই ক্যাডবেরিও পড়ে গেছে বয়কট ট্রেন্ডে। নেটিজেনদের একাংশ এই খাবারটিকে পুরোপুরি বয়কট করার অহ্বান জানিয়েছে। আর এই বিষয়টি নিয়ে পক্ষ আর বিপক্ষ মতে ক্রমশই উত্তাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কিন্তু কেন ক্যাডবেরি বয়টক ট্রেন্ডের সর্বশেষ লক্ষ্য হয়েছে উঠেছে? কেন ক্যাডবেরিতে না বলছেন নেটিজেনটে একাংশ? নেটিজেনদের একটি অংশের দাবি ক্যাডবেরিতে রয়েছে জিলটিন গরুর মাংস। যা হিন্দুধর্মের অনুভূতিতে আঘাত করে। তাই ক্যাডবেরিতে না বলছে নেটিজেনদের একাংশ। ক্যাডবেরির একটি ওয়েবপেডের একটি স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে পণ্যে ব্যবহৃত জিলেটিন 'হালাল প্রত্যায়িত' ও গরুর মাংস থেকে পাওয়া। তারপর থেকেই ক্যাডবেরি বয়কটের ডাক ক্রমশই বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

বয়কট ট্রেন্ডের মারাত্মক পরিণিত সাক্ষী বলিউড। একের পর এক হিন্দি ছবি মুখ থুবড়ে পড়েছিল। এছাড়াও সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে পোশাকের ব্র্যান্ড এমনকি বিজ্ঞাপণও বয়কট করার ডাক দেওয়া হয়। যা নিয়ে রীতিমত উত্তাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই বলেছেন ক্যাডবেরির জায়গায় দেশে মিষ্টি অনেক ভাল। এতে উপকৃত হবে দেশের শিল্প।

একটি অংশের পাল্টা দাবি যে স্ক্রিনশটটি ভাইরাল হয়েছে সেটি অস্ট্রেলিয়ান ওয়েবসাইটের পুরনো সংস্করণ থেকে নেওয়া। গত বছরও প্রায় একই দাবি করা হয়েছে। যে পোস্টে ওয়েবসাইটটি তার অস্ট্রেলিয়ান শাখা থেকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছে। সেই সময়ই ক্যাডবেরির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছিল, ভারতে যে সব পণ্য তৈরি হয় বিক্রি হয় তা ১০০ শতাংশ নিরামিষ। ব়্যাপারের সবুজ বিন্দুই তা স্পষ্ট করে দেয়। যদিও এখনও পর্যন্ত ক্যাডবেরি নতুন করে বয়কট ট্রেন্ডের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে দেওয়ালি থেকে ভাইফোঁটা ক্যাডবেরির বিজ্ঞাপণ বেড়ে যায়। এছাড়াও যে কোনও উৎসবের সময়ও ক্যাডবেরির চাহিদা বাড়ে। গতবারও ক্যাডবেরি নিয়ে জল ঘোলা হয়েছিল ভাইফোঁটার সময়। এবারই তাই হল। দেখুন পোস্টগুলিঃ