সংক্ষিপ্ত

ভারতে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ৩০ জানুয়ারি

চিন থেকে কেরলে ফেরা যাত্রীই ভারতের প্রথম নিশ্চিত করোনা রোগী

তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় সামনে এল সম্পূর্ণ নতুন তথ্য

শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানীদের দাবি ২০১৯-এর নভেম্বরেই ভারতে পা রেখেছিল করোনার পূর্বপুরুষ

 

ভারতে প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল গত ৩০ জানুয়ারি। চিন থেকে কেরলে ফেরা এক ডাক্তারির ছাত্রী করোনা পজিটিভ হিসাবে ধরা পড়েন। তবে ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের দাবি, ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে, অর্থাৎ ঠিক যে সময়ে চিনের উহান থেকে প্রথম নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর এসেছিল, সেই সময়েই ভারতে করোনাভাইরাস স্ট্রেইনের পূর্বপুরুষদের আগমন ঘটেছিল।

গোটা বিশ্বে ঠিক এক আকারে নেই করোনাভাইরাস। বারবার অভিযোজনের ফলে অন্তত ১১টি অবতারে সে গোটা পৃথিবীতে দাপট দেখাচ্ছে। বিজ্ঞানীরা ভাইরাসের উদ্ভব কোন সময় এবং কোনখানে তা নির্ধারণ করার জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি ব্যবহার করেন। তাকে বলে মোস্ট রিসেন্ট কমন অ্যানসেস্টর (এমআরসিএ), অর্থাৎ কোনও ভাইরাসের সবচেয়ে সাম্প্রতিক পূর্বপুরুষের খোঁজ চালান তাঁরা। এভাবেই হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজির  বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, ভারতে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে। শুধু তেলেঙ্গানা নয়, সেই সময়ই ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও সংক্রমণ হয়েছিল।  

তবে সেই ভাইরাস চিন থেকে আসা কোনও যাত্রী বহন করে এনেছিলেন না অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে ভাইরাসটি এসেছিল, তা পরিষ্কার করে জানাতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কারণ সেই সময়ে বড় আকারে কেন কোনওরকম করোনভাইরাস পরীক্ষাই ভারতে করা হত না। বস্তুত, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হয়েছিল।

হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি, দিল্লির ইনস্টিটিউট অব জিনোমিক্স অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটিভ বায়োলজি এবং গাজিয়াবাদের সায়েন্টিফিক অ্যান্ড  ইনোভেটিভ রিসার্চ-এর যৌথ গবেষণায় ভারতে 'ক্লেড আই/এ ৩আই' নামে একটি ভাইরাস স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন কেরলের প্রথম নিশ্চিত করোনাভাইরাস মামলায় যে ভাইরাল স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল, তার উৎপত্তি অবশ্যই চিনের উহানে। কিন্তু, ক্লেড আই/এ৩আই স্ট্রেইনের উৎপত্তি চিনে নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় কোনও দেশে। সিসিএমবির পরিচালক ডাক্তার রাকেশ মিশ্র বলেছেন, এই স্ট্রেইনটি ঠিক কোন দেশ থেকে এসেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।