সংক্ষিপ্ত

নেপালে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধস! এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৫৯, নিখোঁজ ৪৪

 ভয়ঙ্কর অবস্থা নেপালে। নেপালে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা বর্ষায় নাজেহাল নেপালের জনজীবন। বিপর্যস্ত পর্যটন শিল্প। নেপালের বিস্তীর্ণ এলাকা শুক্রবার থেকে ফের বৃষ্টির দরুণ একাধিক নদীতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ। এই ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।

নেপাল পুলিশের মুখপাত্র ড্যান বাহাদুর কারকি জানিয়েছেন, "এখন পর্যন্ত ১১২ জন নিহত, ৩৬ জন আহত ও ৪৪ জন নিখোঁজ রয়েছে। ২০০ টিরও বেশি অঞ্চলে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে এবং মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।"

রাজধানী কাঠমান্ডুর আশপাশের নদীগুলো নদীর তীর ভেঙে আশপাশের বাড়িঘর ডুবে গিয়েছে। বিপর্যস্তদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে এক ৪৯ বছরের ট্রাক চালক হরি মাল্লাহ জানান, "মাঝরাতে আমি যখন বাইরে বের হই, তখন pn আমার কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। আমার ট্রাকটি পুরোপুরি pnsj নিচে তলিয়ে গিয়েছে"।

নেপালের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র বসন্ত অধিকারী জানান, "কর্তৃপক্ষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ পেতে কাজ করছে। হেলিকপ্টার ও মোটরবোট দিয়ে উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তার জন্য তিন হাজারের বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

জীবিতদের নিরাপদ স্থানে টেনে আনতে ভেলা ব্যবহার করছে উদ্ধারকারী দল।

ভূমিধসে বেশ কয়েকটি মহাসড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে, শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন।"

কাঠমান্ডুর ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা বিশ্বরাজ খাদকা বলেন, 'প্রায় আটটি রাস্তার বিভিন্ন অংশ ভূমিধসের কারণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।"

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে কাঠমান্ডু থেকে ছেড়ে যাওয়া সব অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে, যার ফলে দেড়শ ফ্লাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কারণে দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে প্রতি বছর ব্যাপক মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে আসে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে মারাত্মক বন্যা ও ভূমিধসের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই মাসে চিতওয়ান জেলায় একটি রাস্তায় ভূমিধসের ফলে ৫৯ জন যাত্রী নিয়ে দুটি বাস নদীতে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় ২০ জনের মৃত্যু হয়। চলতি বছর নেপালে বৃষ্টিজনিত দুর্যোগে ২২০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।