সংক্ষিপ্ত
গত এক সপ্তাহ ধেরেই দেশে নানান ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে কিছু রাজনৈতিক। কিছুতে আবার রাজনৈতিক রং লাগান হয়েছে। আসুন দেখেনি সেইসব ঘটনার অন্দরমহল কেমন ছিল।
ত্রাশ থেকে ক্যাশ
এর্নাকুলাম জেলার ব্রহ্মপুরম ইয়াডে থেকে এখনও ধোঁয়া বার হচ্ছে। ধোঁয়ার সঙ্গে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ আর দূষণ। কিন্তু প্রাকৃতিক দূষণের থেকেই বেশি হচ্ছে রাজনৈতিক দূষণ। কেরলের এই ডাম্পিং গ্রাউন্ড কিন্তু রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র। আর গত ১১ দিন ধরেই জ্বলছে সেই ডাম্পিং গ্রাউন্ড। যাইহোক, গোটা ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই আঙুল তোলাতুলির খেলা শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ব্রহ্মপুরমে প্ল্যান্টটি পরিচালকার দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। সেই সংস্থার সঙ্গে আরও একটি সংস্থা দায়িত্ব ভাগ করে নেয়। বিরোধীদের অভিযোগ দুটি সংস্থার ওপরই রাজ্যের বাম দলগুলির প্রচুর আশীর্বাদ রয়েছে।
প্রতিবেশীর ঈর্ষা - মালিকের গর্ব
এই দেশের রাজনৈতিকবীদরা কিন্তু কখনই লম্বা কোর্ট বা শার্লকহোমসের টুপি পরে ঘুরে বেড়ান না। তাদের হাতে জেমস বন্ডের মত গ্যাজেটও থাকে না। তাদের বেশিরভাই নিজের ইমেজ ইমেজ নিজেই তৈরি করে নেন। যেমন কংগ্রেসের সুনীল কুন্নুগোলু। একটা সময় প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। কর্নাটকে কংগ্রেস ক্ষমতায় ফেরার জন্য তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে দল।
সুনীল ইতিমধ্যেই একটি ২০০ জনের বাহিনী তৈরি করেছে। যারা দলের প্রতিটি পদক্ষেপের ওপর নজর রাখছে। দলটি প্রকৃত পক্ষ কাজ শুরু করে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক ফসলও ঘরে তুলতে শুরু করেছে। সুনীলের এই বাহিনীর সজনশীল প্রচার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নজর কেড়েছে। যদিও বিজেপি সুনীলের মত পোস্টার বয়ের ওপর নির্ভর করে না। তাদের আগে থেকেই একটি প্রচারের দল রয়েছে- সেটিকেই সক্রিয় করা হচ্ছে। যাইহোক, বিজেপি ডেটা-ভিত্তিক প্রচার পরিকল্পনা করছে। ভোটের আগে রাজ্যের প্রতিটি জনগণের কাছে তারা যেতে চায়। অমিত শাহের ভাবাদর্শে অনুপ্রাণিত অনিল গৌড়ার ওপর ডেডিএস অনেকটাই নির্ভর করে। তাঁর সঙ্গে রয়েছে ৭০ জনের একটি দল। প্রত্যেক সদস্যই তরুণ।
অন্যদিকে সিদ্ধারামাই কোরালে নিজের ওয়াররুম চালু করার তোড়জোড় শুরু করেছে। যাইহোক কৌশলবিদরা তাদের পরিকল্পনায় কতদূর সফল হতে পারে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কোমর-কৌশল
সারাদেশের পুলিশ অপরাধীদের দমনে যাথাসাধ্য চেষ্টা করছে। রাজস্থান পুলিশ আক্ষরিক অর্থেই দাঁত ও নখ বার করেছে বলেও মনে করছে অনেকে। তাদের অনেকেই পাংচারিং বলে। অন্যকথায় গুন্ডাদের ধরার জন্য পুলিশ কোমরের নিচে গুলি করে। পুলিশ বলছে জয়পুর,ধোরপুর, ঝুঝুনু ও ভারতপুরে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করা তাদের ক্ষমতার বাইরে। তবে অনেকেই মন করছে রাদজস্থান পুলিশ ট্রিগার হ্যাপি ছড়ার পরিণতি আগামী দিনে ভয়ঙ্কর হতে পারে।
রাজা ও রানি
দুজনেই রাজস্থানের পেশী। রাজা-রানী বললেও ভুল হয় না। ভোটমুখী রাজস্থান ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। রাজ্যটিতে পেশী শক্তির প্রদর্শনই চলছে। এই অবস্থায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া নিজের জন্মদিন পালন করেন ধুমধাম করে। কিন্তু তিনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি। অন্যদিকে রাজাও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে নারাজ। তিনি জানেন অনেকেই সিন্ধিয়াকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেন নিতে চায় না। তবে রাজা-রানির এই ক্ষমতা প্রদর্শনে জেরবার বিজেপি কর্মীরা। তাদের কাছে অবস্থা অনেকটা শাঁখের করাতের মত।
স্লাইস জেলা
নতুন জেলা তৈরির জন্য রাজ্যকে যদি টুকরো টুকরো কাটার ব্যবস্থা থাকতে তাহলে এই সময় দাঁড়িয়ে সবথেকে বেশি খুশি হতেন অশোক গেহলট। মুখ্যমন্ত্রী যেখানেই যান না কেন- একটাই প্রশ্ন তাঁকে তাড়া করে বেড়ায় আমরা আমাদের নতুন জেলা কবে পাব? এই ধরনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে গেহলটের উপলব্ধি করা উচিত ছিল যে এই সাইবার যুগে জনসাধারণের স্মৃতি মোটেও কম নয়। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে ছয়টি নতুন জেলা তৈরির জন্য তার বাজেট সমর্থন নেই। দলের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিরা বলছেন যে মুখ্যমন্ত্রী যদি চুপ করে থাকেন তবে মানুষ শীঘ্রই রাস্তায় নামবে।
রোস্টেড পানির
ফিউশান খাবারের জন্য বিখ্যাত তামিলনাড়ু। কিন্তু শুধুমাত্র রোস্টেড পানির পাওয়া যাবে রাজনীতিতে। এই রেসিপিটি সম্প্রতি থেনি এলাকায় আবিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে একজন রাজনৈতিক নেতার একটি নতুন রাজনৈতিক বোঝাপড়া রান্না করার চেষ্টা বৃথা হয়ে গেছে। তিনি গেরুয়া শিবিরের নেতাদের কাছে খাবারের থালি নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরিবেশন করার পরেই তা কোনও কাজে দেয়নি। এখন মনে করা হচ্ছে তার রান্নার মশলাগুলি সঠিক ছিল না।
আরও পড়ুনঃ
মহিলাকে খুন করে দেহ টুকরে করে ৬টি জায়গায় ফেলে দিল অভিযুক্ত, উত্তাল জম্মু ও কাশ্মীর
Delhi excise policy: মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতাকে টানা ৯ ঘণ্টা জেরা, আবার তলব বৃহস্পতিবার
H3N2র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা, রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে সতর্ক করল কেন্দ্র