সংক্ষিপ্ত

গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। অনেকেই জানিয়েছে তাঁকে কংগ্রেস বিরোধী দলনেতা করেনি। আর সেই কারণেই তিনি দলের ওপর যথেষ্ট অসন্তুষ্ট।

আবার গোয়াতে ধাক্কা খেতে চলেছে কংগ্রেস। বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আগেই দলীয় বৈঠকে গরহাজির দলের সাত বিধায়ক। যারমধ্যে রয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীও । সূত্রের খবর কংগ্রেসের সাত বিধায়কই গোয়ার শাসক দল বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন। যদিও এই কথা অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। 

সূত্রের খবর গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। অনেকেই জানিয়েছে তাঁকে কংগ্রেস বিরোধী দলনেতা করেনি। আর সেই কারণেই তিনি দলের ওপর যথেষ্ট অসন্তুষ্ট। দিগম্বর কামাতের পরিবর্তে কংগ্রেস মাইকেল লোবোকে বিরোধী দলনেতা করেছিল। তাই দলবদলের কথা চিন্তাভাবনা করছেন। যদিও ভোটযুদ্ধে তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করা হয়েছিল। তিনি শনিবার কংগ্রেস বিধায়কের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। 


অন্য একটি সূত্রের খবর মাইকেল লোবো যাঁকে ভরসা করে কংগ্রেস বিরোধী দলনেতা করেছে তিনিও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তিনি অবশ্য আগে বিজেপির সদস্য ছিলেন। ভোটের আগে দল বদল করে কংগ্রেসেরর খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন।

যাইহোক কংগ্রেসের গোয়ার প্রধান ও বিধায়ক অ্যালেইক্সো সিকুইরা জানিয়েছেন গোটা বিষয়টি গুজব। আর এই গুজব ছড়াচ্ছে বিজেপি। সাত বিধায়কের অনুপস্থিতির প্রসঙ্গ তিনি মানতে চাননি। জানিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই বৈঠকে উপস্থিতি ছিল। আর দিল্লি থেকে জরুরি ভিত্তিতে কাউকে ডেকে পাঠান হয়নি। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড একটি সৌজন্য সাক্ষাৎকারের জন্য। 

৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশানাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের আসন সংখ্যা ২৫। আর কংগ্রেসের মাত্র ১১ জন বিধায়ক। কংগ্রেসেই সেখানে বিরোধী দল। যদি কংগ্রেসের সাত বিধায়ক দল বদল করে তাহলে কংগ্রেস বিরোধী দলের মর্যাদাও হারাতে পারে।  গোয়ায় এর আগে ২০১৯ সালে কংগ্রেস ভেঙেছিল সেই সময় দলের বেশিরভাগ বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল কংগ্রেস। আগের থেকে শিক্ষা নিয়ে এই বছর কংগ্রেস সমস্ত বিধায়কদেরই দল পরিবর্তন না করা ও আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি নিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দল বদলের লাইনে রয়েছে কংগ্রেসের সাত বিধায়ক।