সংক্ষিপ্ত

১০ মার্চ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের প্রকাশ হয়। বৃহত্তম দল হিসেবে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। কিন্তু ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য পূর্ণ নির্ধারিত আসন পায়নি বিজেপি। বিজেপির দখলে ২০টি আসন।

ঘাসফুলের কাঁটার যেমন হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে গোয়া (Goa) অনেকটা তেমনই অবস্থা। দূর্দান্তভাবে শুরু করেও উপকূলবর্তী এই রাজ্যে খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। যদিও  অনেকটা পিছিয়ে থেকে শুরু করে এই রাজ্যে দুটি আসন দখল করতে পেরেছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। একে তো হার তারওপর গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রসে বড় ধাক্কা দিল জোটসঙ্গে মরাহাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি (MGP)। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছ়ড়া বেধেঁ ভোটে লড়লেও ফল প্রকাশের দিনই ঘাসফুলকে বিদায় জানিয়ে হাত করে নেয় বিজেপির। 

১০ মার্চ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের প্রকাশ হয়। বৃহত্তম দল হিসেবে কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। কিন্তু ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় সরকার গঠনের জন্য পূর্ণ নির্ধারিত আসন পায়নি বিজেপি। বিজেপির দখলে ২০টি আসন। ফল প্রকাশের সময়ই রাজ্যের তিন নির্দল প্রার্থী বিজেপিকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেয়। যাতে প্রথম পর্বের ফাঁড়া কাটিয়ে উঠতে পারে বিজেপি। অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ২১ পার হয় গেরুয়া শিবির।  বৃহস্পতিবারই বিজেপি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে আসে। সোমবার হতে পারে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। 

যাইহোক গতকালই মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টি বা এমজিপি জানিয়ে দিয়েছিল তারা বিজেপিকে সমর্থন করবে। সেই কারণে গোয়ায় বিজেপির শক্তি ২৫এ গিয়ে পৌঁছেছে। 

বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছে যে তিন নির্দল প্রার্থী তারা হলেন আন্তোনিও ভাস, চন্দ্রকান্ত শেঠে ও অ্যালেক্স রেজিনাল্ড। ভোটের আগেই মহারাষ্ট্রের গোমান্তক পার্টি বা এমজিপি উপকূলীয় রাজ্যে সরকার গঠনের নিয়ন্ত্রক হবে বলে ঘোষণা করেছিল। যা বাস্তব হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়াই করেছিল। কিন্তু এমজিপিএর এই পদক্ষেপে গোয়ায় জোটের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে গেছে। এই রাজ্যে কংগ্রেস পেয়েছে ১১টি আসন, গোমান্তক পার্টি পেয়েছে ২টি আসন। আপ দুটি, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টি পেয়েছে ১টি আসন।

যাইহোক কংগ্রেস আগেই জানিয়েছে গোয়ার মানুষের রায় তারা মাথা পেতে নিয়েছে। তারা বিরোধী আসনেই বসবে।তবে ফল প্রকাশের সময় থেকেই তৃণমূলের অভিযোগ ছিল গোয়ায় সঠিক নির্বাচন হয়নি। যা নিয়ে প্রথম থেকেই সরব ছিল তারা। যদিও ভোটের আগে থেকে এই রাজ্যে কংগ্রেসের এক ঝাঁক নবীন প্রবীণ নেতা কর্মীদের দলে নিয়েছিল তৃণমূল। নেওয়া হয়েছিল লিয়েন্ডার পেজের মত সেলিব্রিটিদেরও। আশা করেছিল গোয়ার ভালো ফলাফলে।  কিন্তু গোয়ায় স্বপ্ন অধরা থেকে গেল তৃণমূলের। 

এবার কংগ্রেসে পরিবর্তন জরুরি, পাঁচ রাজ্যে ধরাসায়ী হওয়ার পর শীর্ষ নেতৃত্বকেই টার্গেট দলীয় নেতাদের

মণিপুরের মসনদ এন বীরেন সিং-এর, ফুটবোলার থেকে বিজেপি নেতা হয়ে ওঠার কাহিনি

'সাহেব সবই জানেন যুদ্ধ হবে ২০২৪-এ', চার রাজ্যে বিজেপির জয়ের পর মোদীকে ঠুঁকলেন প্রশান্ত কিশোর