সংক্ষিপ্ত

রাত পোহালেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের (Goa Elections 2022) ফল প্রকাশ। তার আগেই, তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং এমজিপি (MGP) বা মহারাষ্ট্র গোমান্তক পার্টির জোটে ভাঙনের আভাস দেখা গেল। 
 

রাত পোহালেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ, যার অন্যতম গোয়া (Goa Elections 2022)। বরাবর গোয়ায়, লড়াইটা হয়েছে দ্বিমুখি - কংগ্রেস (Congress) বনাম বিজেপি (BJP)। তবে, এবার তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) এবং আপ-এর (AAP) মতো দলও এই রাজ্যে ছাপ রাখতে চাইছে। এই প্রেক্ষিতে সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষাই আভাস দিচ্ছে, গোয়ায় ত্রিশঙ্কু ফল হতে পারে। ফলে, ভোট পরবর্তী জোট গঠনে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে আঞ্চলিক দল, ছোট দলগুলির ভূমিকা। আর এই সম্ভাবনা দেখা দিতেই গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস দলের জোটে ভাঙন ধরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বুথ ফেরত সমীক্ষাগুলির ফল অনুযায়ী, ৪০ আসনের গোয়া বিধানসভায় এবার বিজেপি বা কংগ্রেস - কোনও দলই একক সংখ্যাগরীষ্ঠতা পাবে না, আটকে যাবে ১৫-১৬ টি আসনে। কাজেই সরকার গঠন করতে বিধায়ক সংখ্যার ঘাটতি মেটাতে হবে ছোট দলগুলির মাধ্যমেই। তাই দুই জাতীয় দলের পক্ষ থেকেই ছোট দলগুলির কাছাকাছি পৌঁছানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস জোট বেঁধেছে এমজিপি (MGP) বা মহারাষ্ট্র গোমান্তক পার্টির সঙ্গে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃণমূল বিজেপির সঙ্গে জোট না গড়ার বিষয়ে একেবারে অনড় থাকলেও, এমজিপি কিন্তু জল মাপছে। বিজেপি তাদের কাছে অচ্ছুত নয়। আবার কংগ্রেসের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে তারা। 

এমজিপি নেতা সুধীন ধাভালিকারকে (Sudhin Dhavalikar) উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুই জাতীয় দলের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখলেও, কোন দলকে সমর্থন করা হবে, সেই বিষয়ে তারা জোটসঙ্গী তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনার করেই সিদ্ধান্ত নেবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishore) সঙ্গে ইতিমধ্যেই তিনি দেখা করেছেন। ধাভালিকারের দাবি, তাঁদের জোট ১০০ শতাংশ অটুট রয়েছে এবং তাঁরা ১০ টির বেশি আসন পাবেন। তারপর কার সঙ্গে জোট গড়বেন, তা জানাবেন বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয়।

তবে, বিজেপির সঙ্গে জোট গড়ার বিষয়ে যে, এমজিপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গীর ফারাক রয়েছে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ধাভালিকারের বক্তব্যে। বস্তুত, ২০১৭ সালে, গোয়ায় বিজেপি সরকারের জোটেই ছিল এমজিপি। মনোহর পারিক্করের (Manohar Parikkar) মৃত্যুর পর প্রমোদ সাওয়ান্ত (Pramod Sawant) মুখ্যমন্ত্রী হয়েই মন্ত্রিসভা থেকে এমজিপি মন্ত্রীদের ছেঁটে ফেলেছিলেন। তাতেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল এমজিপি। শোনা যাচ্ছে, বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার জন্য এমজিপি একটিই শর্ত দিয়েছে, প্রমোদ সাওয়ান্তকে মুখ্যমন্ত্রী পদে রাখা চলবে না। এদিকে, প্রমোদ সাওয়ান্ত, মঙ্গলবারই জানিয়েছিলেন, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই এমজিপির সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।

তৃণমূল কিন্তু দৃঢ়ভাবে বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে। বস্তুত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) জাতীয় রাজনীতির উচ্চাকাঙ্খার স্বার্থে, তা করা সম্ভবও নয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে। তাহলে কি জোটে ভাঙন, উত্তর মিলবে বৃহস্পতিবার।