সংক্ষিপ্ত
রেল সূত্রের খবর যাত্রীদের সমস্যা সমাধানে প্রতি বছর নতুন নতুন ট্র্যাক তৈরি করা হবে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০০ কিলোমিটার ট্র্যাক নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট রিজার্ভ করার পর এরা কনফার্মের অপেক্ষায় প্রহর গুণতে হবে না। বারবার নিজের মোবাইলফোনের স্ক্রিনে চোখ রেখে জানতে দেখতে হবে না যে টিকিটটি কনফার্ম হয়েছে রা ওয়েটিং লিস্টে রয়েছে। কারণ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে যাত্রী পরিষেবা আর যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় রেল।
ভারতীয় রেলওয়ে সূত্রের খবর প্রতিদিন নতুন নতুন ট্রেন চালানোর পথেই হাঁটছে। চলতি সপ্তাহেই ছিল দীপাবলির উৎসব, আসছে ছটপুজো। লম্বা ছুটিতে বাড়ির যাওয়া ও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল অনেকে। সেই কারণেই স্টেশনগুলিতে ছিল উপচে পড়া ভিড়। বিহারগামী ট্রেনে চলতে গিয়ে ৪০ বছরের এক ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। আর সেই কারণে রেল বড় রকমের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে সূত্রের খবর।
রেল সূত্রের খবর যাত্রীদের সমস্যা সমাধানে প্রতি বছর নতুন নতুন ট্র্যাক তৈরি করা হবে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০০ কিলোমিটার ট্র্যাক নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ হাজার ৭৪৮টি ট্রেন চলে। আগামী দিন ট্রেন সংখ্যা বাড়িয়ে ১৩ হাজার কি তারও বেশি করার পরিকল্পনা রয়েছে ভারতীয় রেলের। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে ৩ হাজারটি নতুন ট্র্যাক তৈরির পরিকল্পনা কয়েছে।
প্রতিবছর ৪০০ কোটি যাত্রা ট্রেনে করে যাতায়াত করেন। যাত্রী সধারণ ক্ষমতা ১০০ কোটিতে উন্নীত করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ভারতীয় রেল। পাশাপাশি দূরপাল্লা থেকে শুরু করে লোকলট্রেনেও যাতে ভ্রমণের সময় কম লাগে তারও চিন্তাভাবনা শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। ট্রেনের গতি যাতে দ্রুত হ্রাস ও বৃদ্ধি করা যায় তারজন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি উন্নয়ন করা হবে।
রেলওয়ের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে ত্বরণ ও ক্ষয় বাড়ালে দিল্লি থেকে কলকাতা যাতায়াতের সময় ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট কমানো কোনও ব্যপার নয়। বর্তমানে প্রতি বছরে ২২টি ট্রেন তৈরি করা হচ্ছে। এগুলি পুশ ও পুল প্রযুক্তি ব্যবহার করা যাবে বন্দ ভারতের অধীনে ট্রেনে ত্বরণ ও হ্রাস ক্ষমতা বর্তমান ট্রেনের চার গুণ বেশি।