সংক্ষিপ্ত
এয়ার ইন্ডিয়ায় একশো শতাংশ শেয়ার বিক্রি করা হচ্ছে।
এর জন্য প্রিলিমিনারি ইনফরমেশন মেমোরেন্ডাম প্রকাশ করা হল।
সেই সঙ্গে বিডারদের আকৃষ্ট করতে অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে।
ইওআই জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ মার্চ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি), কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত্ব উড়ান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ায় একশো শতাংশ শেয়ার বিক্রির জন্য় প্রিলিমিনারি ইনফরমেশন মেমোরেন্ডাম প্রকাশ করল। এই বিড ডকুমেন্ট অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়া স্বল্প মূল্যের এয়ারলাইন 'এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস'-এর ১০০ শতাংশ এবং যৌথ উদ্যোগ 'এআইএসএটিএস'-এর ৫০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে। সেই সঙ্গে সফল বিডারেরর হাতে চলে যাবে এই রাষ্ট্রায়ত্ব উড়ান সংস্থার পরিচালন নিয়ন্ত্রণ-ও। এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট বা ইওআই জমা দেওয়ার জন্য সরকার ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে।
বর্তমানে 'এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস'-এর পূর্ণ মালিকানা রয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার হাতে। আর এআইএসএটিএস-এর রয়েছে ৫০ শতাংশ মালিকানা। এই দুই মালিকানার জন্য়ই কোনও ব্যক্তি বা সংঘ দর হাঁকতে পারবে। ক্ষতিতে চলা এয়ার ইন্ডিয়া-র বেসরকারীকরণের জন্য সরকার গত দুই বছরে কমপক্ষে দু'বার চেষ্টা করেছে। কিন্তু দুইবারই কোনও বিনিয়োগকারী আগ্রহ না দেখানোয় সরকারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এর অন্যতম কারণ ছিল সরকার, উড়ান সংস্থাটি পুরোপুরি হাতছাড়া করতে চাইছিল না, ৭৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে চাইছিল। এর সঙ্গে বিপুল ঋণের বোঝা এবং প্রয়োজনের বেশি কর্মীর চাপ-ও লগ্নিকারীদের পিছিয়ে আসার কারণ ছিল।
অবস্থা বুঝে এইবার সরকার এয়ারলাইন্সটি বিক্রি করতে বিনিয়োগকারীদের দর হাঁকার নিয়ম অনেকটাই শিথিল করেছে। এয়ার ইন্ডিয়ার মোট ৬০,০০০ কোটি টাকার ঋণের মধ্যে মাত্র ২৩,২৮৬ কোটি টাকা দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের যোগ্যতামানও কমিয়ে আনা হয়েছে। বিনিয়োগকারী ব্যক্তি বা সংস্থার মোট মূল্য ৫০০০ কোটি টাকা থেকে কমিয়ে ৩৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে কনসোর্টিয়ামের শীর্ষস্থানীয় সদস্যের শেয়ারহোল্ডিং আগের ৫১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আর কনসোর্টিয়ামের ন্যূনতম শেয়ারহোল্ডিংয়ের পরিমাণও কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ।