সংক্ষিপ্ত
বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কর্মীদের গ্র্যাচুইটি বৃদ্ধি পেয়েছে।
আদতে এটি একটি আর্থিক সহায়তা। এছাড়াও যেকোনও কর্মচারীর প্রাপ্ত গ্র্যাচুইটির পরিমাণ তাঁর শেষ বেতনের উপর নির্ভর করে থাকে। কেউ ৫ বছর চাকরি সম্পন্ন করার পর ঠিক কতটা গ্র্যাচুইটি পাবেন? আসলে একজন ব্যক্তি কত পরিমাণ গ্র্যাচুইটি পাবেন, তা তাঁর বেতনের উপর নির্ভর করে।
১ জানুয়ারী, ২০২৪ থেকে সরকার গ্র্যাচুইটির সীমা ২০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ লক্ষ টাকা করেছে। এর মূল কারণ হল, কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) ৫০% বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই সংশোধনীটি গত ২০২৪ সালের ৩০ মে, জনঅভিযোগ ও পেনশন মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনাদের অনেকেই হয়তো গ্র্যাচুইটি পেমেন্ট আইনের সম্পূর্ণ জ্ঞান সম্পর্কে অবগত নন। এই আইনটি খনি, তেল, প্ল্যান্টেশন সেক্টর, বন্দর, রেলওয়ে, মোটর পরিবহন, কারখানা এবং অন্যান্য কোম্পানিতে ১০ বা তার বেশি কর্মচারী নিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই একমাত্র প্রযোজ্য। এই আইনের আওতায় আসা সকল কর্মচারীর ১৫ দিনের বেতনের সমপরিমাণ গ্র্যাচুইটি পাওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও, গ্র্যাচুইটির সর্বোচ্চ সীমা ২৫ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য এই সীমা মাত্র ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। গ্র্যাচুইটি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলীও রয়েছে। একজন কর্মচারীকে গ্র্যাচুইটি পেতে হলে একটি কোম্পানিতে কমপক্ষে ৫ বছর কাজ করতে হবে। তবেই তাঁকে গ্র্যাচুইটির পরিমাণ দেওয়া হবে। ৫ বছর চাকরি পূর্ণ করার পর, যদি কোনও কর্মচারী পদত্যাগ করেন, তাহলেও তিনি গ্র্যাচুইটি পেতে পারেন।
যদি কোনও কর্মচারী গুরুতর অসুস্থ হন, অক্ষম হন কিংবা দুর্ঘটনায় মারা যান, তাহলে তাঁর সম্পূর্ণ গ্র্যাচুইটির পরিমাণ তাঁর উত্তরাধিকারীকে প্রদান করা হয়ে থাকে। গ্র্যাচুইটি গণনা করার জন্য একটি বিশেষ সূত্র তৈরি করা হয়েছে: সেটি হল ‘শেষ বেতন × চাকরির বছর × ১৫/২৬’ এই সূত্র অনুসারে গ্র্যাচুইটি গণনা করা হয়।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।