সংক্ষিপ্ত
ব্য়াঙ সাপের খাদ্য, এটাই সকলে জানে।
কিন্তু সব উল্টে পাল্টে দিল একটি সবুজ গেছো ব্যাঙ।
হজন করে নিল বিশ্বের অন্যতম বিষধর একটি সাপ-কে।
বারবার ছোবল খেয়েও অবিচল সে।
ব্য়াঙ সাপের খাদ্য, এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু, এই সব সাধারণ জ্ঞান ভুলিয়ে দিল একটি গ্রিন ট্রি ফ্রগ বা সবুজ গেছো ব্যাঙ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাঙটির দুটি ছবি দিয়ে দাবি করা হয়েছে একটি মারাত্মক বিষাক্ত সাপকে ব্যাঙটি অনায়াসে গিলে নিয়েছে। ব্যাঙটি-কে সাপটি বেশ কয়েকবার কামড়-ও মারে। কিন্তু বিষের জ্বালা তাকে ছুঁতেও পারেনি। প্রায় অলৌকিকভাবেই সে বেঁচে যায়, এবং সাপটিকে গিলে নেয়।
ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড প্রদেশের। ওই সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলা হয়েছে, ক্ষুধার্ত সবুজ গেছো ব্যাঙটি যে সাপটিকে ধরেছিল সেটি ছিল একটি উপকূলীয় তাইপান প্রজাতির সাপ। পৃথিবীতে সবচেয়ে বিষধর যে সাপগুলিকে ধরা হয়, তার মধ্যে অন্যতম এই সাপ। সেই সাপ একাধিকবার ছোবল মারা সত্ত্বেও ব্যাঙটি কীভাবে বেঁচে থাকল সেই নিয়ে বিস্মিত নেটদুনিয়া।
স্নেক টেক অ্যাওয়ে নামে সংস্থাটি কুউন্সল্যান্ডে কারোর বাড়িতে সাপ ঢুকে পড়লে সেই সাপ ধরার কাজ করে থাকা। ওই সংস্থার মালিক জেমি চ্যাপেল জানিয়েছেন, একটি মহিলা তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, তাঁর বাড়ির উঠোনে একটি উপকূলীয় তাইপান প্রজাতির সাপ ঘোরাফেরা করছে। তিনি সাপটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন জেমি চ্যাপেল-কে।
চ্যাপেল জানান, ওই মহিলার বাড়ি যাওয়ার পথেই তাঁকে ফের ফোন করেছিলেন ওই মহিলা। তিনি ফোনে দাবি করেন একটি ব্যাঙটি সাপটিকে গ্রাস করছে। তা শুনে আরও বিস্মিত হয়ে জেমি দ্রুত ওই মহিলার বাড়ি যান। তিনি জানিয়েছেন, তিনি যখন পৌঁছান ততক্ষণে সবুজ গেছো ব্যাঙটি, ওই বিষাক্ত সাপটিকে প্রায় পুরোটা গ্রাস করে ফেলেছিল। জেমিই এই ঘটনার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান।
তিনি অবশ্য ব্যাঙটিকে সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। কারণ ব্যাঙটি সাপটিকে উগরে দিতে পারে বলে মনে করেছিলেন তিনি। কিন্তু, সাপচিকে সে বেশ ভালোভাবে হজম করে নিয়েছে। চ্যাপেল জানিয়েছেন ব্যাঙটির একেবারে সুস্থ রয়েছে। শিগগিরই তাকে তিনি কোনও বনে-জঙ্গলে ছেড়ে দেবেন।