সংক্ষিপ্ত

পাঠানকোটের এসএসপি সুরেন্দ্র লাম্বা জানিয়েছেন, রবিবার রাতের দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের বেশ কয়েকজন বাইক আরোহী ওই ত্রিবেনী গেটের সামনে এসে দাঁড়ায়। তারপর সেনা শিবির লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে পালিয়ে যায়। 

ভয়াবহ বিস্ফোরণ ভারতীয় সেনা (Indian Army) ঘাঁটির কাছে। পঞ্জাবের পাঠানকোটে (Pathankot) সেনা শিবিরের কাছেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ক্যাম্পের ত্রিবেনী গেটের কাছেই গ্রেনেড বিস্ফোরণ (Grenade Blast) হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে কারা এই বিস্ফোরণ (Explosion) ঘটিয়েছে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage)। তবে এই ঘটনায় কেউ জখম হয়নি বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। 

পাঠানকোটের এসএসপি সুরেন্দ্র লাম্বা (Surendra Lamba) জানিয়েছেন, রবিবার রাতের দিকে অজ্ঞাত পরিচয়ের বেশ কয়েকজন বাইক আরোহী ওই ত্রিবেনী গেটের (Triveni Gate) সামনে এসে দাঁড়ায়। তারপর সেনা শিবির লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছুড়ে পালিয়ে যায়। এই ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে (CCTV)। যদিও এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ফুটেজ খতিয়ে দেখে তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- বাঘ খুঁজতে গিয়ে বাঘিনীর খপ্পরে, প্রাণ হারালেন মহিলা ফরেস্ট গার্ড

ঘটনাস্থল থেকে গ্রেনেডের টুকরো উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ (Local Police)। ঘটনার তদন্ত (Investigation) শুরু করা হয়েছে। এই হামলায় কেউ জখম হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে এই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশের তরফে এর থেকে বেশি কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। 

আরও পড়ুন- এবার ত্রিপুরাতে রক্ত ঝরল সাংবাদিকের, ফের আক্রান্ত তৃণমূলও

তবে এমন বিস্ফোরণের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও সেনা শিবিরে একাধিকবার হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা (terrorist)। চলতি বছরের জুন মাসেই জম্মুর এয়ার ফোর্স স্টেশনের কাছেই পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় দু'জন জখম হন। সেই ঘটনার সময় কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছিলেন ড্রোন থেকে বিস্ফোরক ফেলা হয়েছিল বলে অনুমান করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলের খুব কাছ থেকেই কেউ বা কারা সেই ড্রোন নিয়ন্ত্রণ করছিল। ঘটনাস্থলে আইইডি ফেলে ফিরে যায় সেই ড্রোন (Drone)। 

আরও পড়ুন- গ্রেফতার সায়নী ঘোষ, হেলমেট পরে তাণ্ডব 'বিজেপি'-র, উত্তাল ত্রিপুরা

আর জম্মুর ড্রোন হামলার পরই পাঠানকোটে সন্দেহজনক বেলুন উড়তে দেখেছিলেন এক নিরাপত্তাকর্মী। অবশ্য বহু দিন ধরেই জঙ্গিদের নিশানায় রয়েছে পাঠানকোট। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াইতে চার জঙ্গি খতম হয়েছিল। পাশাপাশি গুলির লড়াইয়ে খতম হন তিন সেনা জওয়ানও। জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। 

ওই সময় সেনাবাহিনীর পোশাক পরে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছিল ৬ জঙ্গি। ঘাঁটির মধ্যে যেই এলাকায় যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার রাখা থাকে সে দিকেই হামলা চালাতে শুরু করেছিল জঙ্গিরা। আসলে তাদের উদ্দেশ্যই ছিল বায়ুসেনা ঘাঁটির মূল্যবান জিনিসপত্র নষ্ট করে দেওয়া। 

YouTube video player