সংক্ষিপ্ত

নাবালিকার স্তন চেপে ধরলেও তা যৌন হেনস্থা নয়

যদি না ত্বকের সঙ্গে ত্বকের স্পর্শ হয়

এমনই রায় দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট

যার জেরে সাজা কমল এক অপরাধীর

আসামির আর নির্যাতিতার 'ত্বকের সঙ্গে ত্বকের' স্পর্শ হতে হবে। তা না হলে কোনও নাবালিকার স্তন চেপে ধরলেও তাকে আইনের চোখে যৌন নির্যাতন হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। গত সপ্তাহে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ বা পকসো আইন (POCSO Act)-এর আওতায় হওয়া এক মামলায় এমনই রায় দিয়েছে বন্বে হাইকোর্ট।

২০১৬ সতীশ নামে নাগপুরের এক ব্যক্তি এক কিশোরী মেয়েকে খেতে দেওয়ার অজুহাতে নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাকে যৌন হেনস্থা করেছিল বলে অভিযোগ। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেয়েটির স্তন চেপে ধরে তাঁর জামা খোলার চেষ্টা করেছিল সতীশ, এমনটাই বলছে মামলার নথি। এর আগে আসামিকে পকসো আইনের ধারায় তিন বছরের জন্য কারাদণ্ডে দন্ডিত করেছিল এক দায়রা আদালত। কিন্তু উচ্চ আদালত তা মানছে না।

বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি গানেদীওয়ালা বলেছেন, যেহেতু সতীশ জামা না সরিয়ে ওই নাবালিকার স্তন চেপে ধরেছিল, তাই এই অপরাধটিকে যৌন নির্যাতন হিসাবে বিবেচনা করা যায় না। পকসো আইন অনুযায়ী, কোনও অপরাধকে যৌন নিপীড়ন হিসাবে বিবেচনা করতে গেলে 'যৌন উদ্দেশ্যে ত্বকের সঙ্গে ত্বকের যোগাযোগ' হওয়া আবশ্যিক। পকসো আইনের চোখে যৌন নিপীড়ন হল, যৌনতার অভিপ্রায়ে কোনো শিশুর যোনি, লিঙ্গ, মলদ্বার বা স্তন স্পর্শ করা বা কোনও শিশুকে দিয়ে কোনও প্রাপ্ত বয়স্কের যৌনাঙ্গ স্পর্শ করানো। এই ক্ষেত্রে তা ঘটেনি।

তবে আসামি সতীশকে পকসো আইনের অধীনে সাজা না দিতে পারলেও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় অর্থাৎ নারীর মর্যাদা হানির অপরাধে তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে বন্বে হাইকোর্ট। এর আগে দায়রা আদালত, পকসো আইনের সঙ্গে সঙ্গে ৩৫৪ ধারাতেও সাজা ঘোষণা করেছিল। তবে এই ক্ষেত্রে সতীশের শাস্তির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় যেখানে শাস্তির পরিমাণ ন্যূনতম এক বছর, সেখানে পকসো আইনে যৌন নিপীড়নের কারণে সর্বনিম্ন তিন বছরের কারাদণ্ড হয়।