সংক্ষিপ্ত

গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের সামনের সারিতে রয়েছেন মোদী-শাহ জুটি। তৈরি হয়েছে নির্বাচনী রণকৌশল। তবে নির্বাচনী রণকৌশলও তৈরি করছেন নরেন্দ্র মোদী। 

হিমাচল প্রদেশের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। খুব দ্রুত গুজরাট বিধানসভারও নির্ঘণ্ট প্রকাশ করা হবে বলেও নির্বাচব কমিশন সূত্রের খবর। এই রাজ্যে টানা ২৭ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। এবারও যাতে গেরুয়া শিবিরের হাতে ক্ষমতা থাকে তার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী  ও অমিত শাহ। ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে গুজরাট তাদের নিজেদের গড় হিসেবেই খ্যাত। তবে গুজরাট নির্বাচন মোদী ও অমিত শাহ জুটির কাছে রীতিমত চ্যালেঞ্জের। 

বিজেপি সূত্রের খবর শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাড়িতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সূত্রের খবর এই বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল,দলের রাজ্য সভাপতি সিআর প্যাটেল-সহ গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের বিজেপির প্রথম সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন সংক্রান্ত এই বৈঠকটি প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে চলেছিল। তবে আলোচনায় প্রাধান্য পেয়েছিল গুজরাটেরে বিজেপির মসনদ বাঁচানো। 

বিজেপি সূত্রের খবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখেই গুজরাট নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। তবে এবারও মোদী-শাহ জুটিই গুজরাট নির্বাচন কার্যকরী ফ্য়াক্টর হবে বলেও আশা করেছেন দলের প্রথম সারির নেতারা। মোদী-শাহই মূলত নির্বাচনের রূপরেখা ও রণকৌশল তৈরি করছেন। 


গুজরাটের নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতে পারে দিওয়ালির পরে। সেই অনুযায়ী হাতে রয়েছে আর ১০-১২ দিন। তারপরই গুজরাটে বিজেপির আধিপত্য ধরে রাখতে আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। ১৮ অক্টোবর থেকে  গুজরাটের গান্ধীনগরে শুরু হচ্ছে প্রতিরক্ষা এক্সপো। ১৯ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী এই ইভেন্টে থাকবেন। প্রতিরক্ষা এক্সপোতে সরকার ১.২৩ লক্ষ কোটি টারা বিনিয়োগের জন্য ৪০০টিরও বেশি চুক্তি করতে পারে। এছাড়াও এই রাজ্য়ে দিপাবলী উপলক্ষ্যে বেশ কিছু প্রকল্প চালু হওয়ার কথা। 

বেতন বৃদ্ধি ও পেনশনের দাবিতে গুজরাটে সম্প্রতি শিক্ষক, চতুর্থ শ্রেণির সরকারী কর্মচারী, স্বাস্থ্যকর্মী, কৃষক, বনরক্ষী এবং অন্যান্য সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। কিন্তু ভোট বাক্সে যাতে এই বিক্ষোভের কোনও আঁচ না পড়ে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

গুজরাটে নির্বাচনে বিজেপি, কংগ্রেস ও আপের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার কথা রয়েছে। যে কারণে বিজেপি আরও বেশি সচেতন হয়ে গেছে। কারণ সরকার বিরোধী ভোট যাতে না বাড়ে সেদিকেই খেয়ার রাখতে বিজেপি। আর সেই কারণ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতাদের জনতার দুয়ারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে কংগ্রেস অনেক আগে থেকেই গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার চালাতে শুরু করেছে। তারই পাল্টা প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। 

অন্যদিকে গুজরাটে ৪০-৫০টি আসন রয়েছে যেগুলি বিজেপি বরাবরই দুর্বল। এবার সেই আসনগুলির দিকেও বিশেষ নজর দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। মুখ্যমন্ত্রীর জনসংযোগ তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। বিজেপি সূত্রের খবর তাই জয়ের জন্য মোদী-শাহ জুটির ওপরই বেশি আস্থা রাখছে বিজেপি। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদী ও অমিক শাহই গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের মুখ হতে চলেছেন। 

গুজরাট বিধানসভায় ১৮২টি আসন। সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ৯২। ২০১৭ সালের নির্বাচনে বিজেপি জিতেছিল ৯৯টি আসনে। কংগ্রেসের দখলে রয়েছে ৭৭টি আসন । 

দিলীপ মহলানবিশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিলেন ত্রাতার ভূমিকায়, ডাক্তারবাবু নিজের হাতে তৈরি করেছিলেন ORS

বিশ্ব ক্ষুধা সূচক রিপোর্ট ভুল আর পক্ষপাতিত্বে ভরা, বিবৃতি দিয়ে জানাল কেন্দ্র

Congress president election: শশী থারুর না মল্লিকার্জুন খাড়গে? সোমবার কার দিকে যাবে রাহুল গান্ধীর ভোট