সংক্ষিপ্ত

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানার চত্বর থেকে কয়েকটি লম্বা প্লাস্টিকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে যে খেলনা বন্দুকে ব্যবহৃত কিছু কার্তুজও কারখানায় তৈরি করা হয়েছিল। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত গানপাউডার এত বড় বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

 উত্তরপ্রদেশের হরিপুরে একটি কারখানার বয়লার বিস্ফোরণে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছে, সম্ভবত খেলনা বন্দুক তৈরির কাজে সেখানে বন্দুক তৈরির গান পাউডার ব্যবহার করা হয়েছিল। শনিবার রাতের এই বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি প্রায় ২০ জন আহত। বিস্ফোরণটি এতটাই তীব্রভাবে হয়েছিল যে প্রায় ১০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত তার আওয়াজ পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কারখানার চত্বর থেকে কয়েকটি লম্বা প্লাস্টিকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে যে খেলনা বন্দুকে ব্যবহৃত কিছু কার্তুজও কারখানায় তৈরি করা হয়েছিল। উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত গানপাউডার এত বড় বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উত্তরপ্রদেশের হাপুরে একটি রাসায়নিক কারখানায় বয়লারে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের আঘাত এতটাই তীব্র ছিল যে আশেপাশে অবস্থিত কয়েকটি কারখানার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে ঢোলনায় উত্তর প্রদেশ রাজ্য শিল্প কর্তৃপক্ষের এলাকায় অবস্থিত রুহি ইন্ডাস্ট্রি নামের কারখানায়। কারখানাটি ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরি করে এবং ২০২১ সালে লাইসেন্স পেয়েছে। পুলিশের আইজি জানিয়েছেন যে এই কারখানার মালিক মেরঠের বাসিন্দা দিলশাদকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি সম্প্রতি হাপুরের বাসিন্দা ওয়াসিম নামে এক ব্যক্তিকে কারখানাটি ভাড়া দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৃতদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং দুর্ঘটনাটির তদন্ত করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ করতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও হাপুর রাসায়নিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন:

উত্তরপ্রদেশের রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু, শোকপ্রকাশ মোদীর

রহড়ায় আচমকা বোমা বিস্ফোরণ, মৃত্যু ১ যুবকের, তদন্তে পুলিশ

বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল টাটা স্টিল, জামসেদপুরের কোক প্ল্যান্টে আগুনে ঝলসে যায় ৩ শ্রমিক

হাপুরের ডিএম মেধা রূপম বলেছেন যে ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হবে। সঠিক কারণ জানতে পুরো কারখানার ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। ডিএম আরও বলেছেন যে এলাকার অন্যান্য কারখানাগুলি পরিদর্শন করা হবে এবং তদন্তে তাদের শিথিলতার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।হাপুরের রুহি ইন্ডাস্ট্রি নামের একটি কারখানায় শনিবার একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আইজি পারভীন কুমার জানান, প্রাথমিক তদন্তে কারখানার মালিক দিলশাদকে শনাক্ত করা হয়েছে। ইউপি পুলিশ এখন ধারা ৩০৪ এর অধীনে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে। অন্যদিকে, শনিবার রাতে গুজরাটের সুরাটের পান্ডেসরা এলাকায় একটি টেক্সটাইল মিলে আগুন লেগেছে।