সংক্ষিপ্ত
মসজিদ কর্তৃপক্ষ ১৯৯৩ সাবলে ব্যাস জি কা তেহখানা নামে পরিচিত বেসমেন্টটি ব্যারিকেড করে ঘিরে ফেলে। তারপর তাতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল।
জ্ঞানবাপী সমজিদের বেসমেন্টের চাবি হস্তান্তর মামলার শুনানি শেষ। তবে আদালত রায় সংরক্ষণ করেছে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে চাবি হস্তান্তর করার মামলার শুনানি শুক্রবার শেষ হয়েছে।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ ১৯৯৩ সাবলে ব্যাস জি কা তেহখানা নামে পরিচিত বেসমেন্টটি ব্যারিকেড করে ঘিরে ফেলে। তারপর তাতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল। তার আগে আবেদনকারী মদন মোহন যাদব জানিয়েছেন, সোমনাথ ব্যাস, একজন পুরোহিত ছিলেন। তিনি উপাসনার জন্য বেসমেন্টটি ব্যবহার করছিলেন। যাদব আবেদন করেছেন যে চাবিটি যেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তাঁর আশঙ্কা রয়েছে বেসমেন্টের বিষয়বস্তু ও জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হতে পারে।
শুক্রবার জেলা বিচারক একে বিশ্বেশ কাশী বিশ্বনাথ ট্র্রাস্টের কাছে তাদের যুক্তি তৈরি করার জন্য একদিন সময় দিয়েছিলেন। শুক্রবার মামলাটি আদালতে উঠেছিল। কিন্তু শনিবার বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়। যদিও যাদব দাবি করেছেন যে শুনানির সময় কাশী বিশ্বনাথ ট্রাস্টের আইনজীবী বলেছিলেন, যে জেলা ম্যাজিস্ট্রিটের কাছে বেসমেন্টে চাবি হস্তান্তরের আবেদনে তার কোনও আপত্তি নেই।
জেলা সরকারের আইনজীবী রাজেশ মিশ্র বলেছেন, আদালত এই মামলার আদেশ ৪ অক্টোবর পর্যন্ত সংরক্ষণ করেছে। ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ এখানে কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে জ্ঞানভাপি মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি বৈজ্ঞানিক জরিপ চালাচ্ছে,১৭ শতকে তৈরি হওয়া মসজিদটি কোনও হিন্দু মন্দিরের ওপর তৈরি হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করার জন্যই এই সমীক্ষা। মসজিদের মধ্যে চলা আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার সমীক্ষা বন্ধ করতেই আবেদন করেছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিচালন কমিটি। কিন্তু বারণীস আদালত তা খারিজ করে দিয়েছে। জেলা সরকারের আইনজীবী রাজেশ মিশ্র বলেছেন, যে অজ্ঞমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির দায়ের করা আবেদনে জেলা বিচারক একে বিশ্বেশ বলেছেন সমীক্ষাটি ইতিমধ্যেই এলাহাবাদ হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমোদন রেয়েছে। তাই এই বিষয়ে বারাণসী আদালত থেকে কোনও আদেশ দেওয়া সম্ভব হবে না।