সংক্ষিপ্ত

সমীক্ষার শেষ দিনেই আইনজীবী বিষ্ণ জৈনের দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। তিনি বলেছেন কূপের ভিতর একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। শিবলিঙ্গটি ১২ ফুট লম্বা আর ব্যাস ৪ ইঞ্চি। তিনি আরও জানিয়েছেন শিবলঙ্গের সুরক্ষার জন্য তিনি দেওয়ানি আদালতে যাবেন।

কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষার কাজ আড়াই দিনের মাথায় শেষ হয়েছে। একাধিক ভিডিও শ্যুট করা হয়েছে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হবে শুনানি। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির লাগোয়া জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল স্বয়ম্ভু জ্যোতির্লিঙ্গ ভগবান বিশ্বেশ্বর নামে একটি কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠন। সংগঠনের দাবি ১৬৬৪ সালে মোঘল সম্রাট আকবর ২ হাজার বছর পুরনো কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ধ্বংস করে সেখানে এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন। তাই যে জমিতে বর্তমানে মসজিদ রয়েছে সেটি আসলে হিন্দুদের জমি। হিন্দুদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক সমীক্ষারও দাবি জানান হয়েছিল।

 এই আবেদনের পাল্টা হিসেবে একটি আবেদন করেছিল মসজিদ কমিটি। বছর দুয়েক বিষয়টি নিয়ে টানাপোড়েনের পর মসজিদ সমীক্ষার অনুমতি দেয় বাপাণসী জেলা আদালত। সমীভার দায়িত্ব দেওয়া হয় আর্কিয়োলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে। সেইসময় শনিবার থেকে আইএআইএর পুরাতত্ববিদদের একটি দল ও যুযুধান দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে মসজিদের ভিডিওগ্রাফি করা হয়। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সমীক্ষার নথি এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। নথি সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জেলা শাসক। 

কিন্তু সমীক্ষার শেষ দিনেই আইনজীবী বিষ্ণ জৈনের দাবি ঘিরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য। তিনি বলেছেন কূপের ভিতর একটি শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। শিবলিঙ্গটি ১২ ফুট লম্বা আর ব্যাস ৪ ইঞ্চি। তিনি আরও জানিয়েছেন শিবলঙ্গের সুরক্ষার জন্য তিনি দেওয়ানি আদালতে যাবেন। তবে বর্তমানে সেই কূপটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। হিন্দুপক্ষের অপর আইনজীবী মদন মোহন যাদব বলেছেন শিবলিঙ্গটি নন্দীমুখী। এই ঘটনার কথা টুইট করে জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। তিনি বলেছেন বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষ্যে জ্ঞানবাপীতে বাবা মহাদেবের আবির্ভাব হয়েছে। যা দেশের হিন্দু ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। 

তবে হিন্দু পক্ষের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েয়েছন মুসলিম আইনজীবীরা। কাঁরা বলেছেন এটি পুরোপুরি অসত্য। হিন্দু পক্ষের আইনজীবীদের এই দাবি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন ওখানে কোনও শিবলিঙ্গ ছিল না। সেখানে একটি ঝর্না রয়েছে। সেই কাঠামোটিকে শিবলিঙ্গ বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই এলাকা সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কোনও ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুলসিমদের পক্ষ থেকে বা হয়েছে আদালতের আদেশে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। খুব তাড়াতাড়ি বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ করা হবে।